জলবায়ু সংকটে টিকে থাকতে স্থানীয় জাতবৈচিত্র্য ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ
রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ রবিবার( ১৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউপির ধূমঘাট এগ্রোইকোলজি লার্নিং সেন্টারে শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের আয়োজনে স্থানীয় জাতবৈচিত্র্য ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী অল্পনা রানী মিস্ত্রির সভাপতিত্বে ও বরষা গাইনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন বারসিকের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, বৈচিত্র্য ও নগরের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম। এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধিবৃন্দ, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কর্মসূচি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডল, মারুফ হোসেন ও পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ এবং ঈশ্বরীপুর ইউপির এগ্রোইকোলজি দল ও নারী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
শুরুতে এই প্রতিনিধি বৃন্দ অল্পনা রানীর গবেষণাধীন ধানের প্লট তার বাড়ির বিভিন্ন উদ্যোগ ও চর্চা পর্যবেক্ষণ করেন। কর্মশালায় স্থানীয় ১৬৪ জাতের ধান, শিম ২৪,, ঝাল ১২, ডাঁটাশাক ১০, লাউ ৫, অচাষকৃত ২৬, বেগুন ৫, ঝিঙা, তরুল, পুইশাক, উচ্ছে, পেপে সহ প্রায় ৪০০ প্রকারের স্থানীয় বীজ প্রদর্শনী ও হাতে কলমে বীজ সংগ্রহ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের অতিথি পারমাকালচারের প্রতিনিধি দিল মায়া গুরুং বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে নেপালের পাহাড়ী এলাকায় পিছিয়ে পড়া নারী ও জলবায়ু পরিবর্তনে টিকে থাকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছি। আমি আনন্দিত আজ আমার মত এগ্রোইকোলজি চর্চাকারী নারীদের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চর্চা পরিদর্শন করে এবং একে অন্যের সাথে মত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও নেপালের পাহাড়ী এলাকা দুটি একেবারে বিভিন্ন পরিবেশ ও সমস্যা গত জায়গায় ভিন্নতা রয়েছে। তিনি একটি নেপালী সংগীতের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঋতু বৈচিত্র্য ও স্থানীয় বীজ বৈচিত্র্য বিলুপ্ত হচ্ছে, একসাথে ক্ষতিকর কীটনাশকের প্রভাবে প্রকৃতির আন্তঃসম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তা তুলে ধরেন এবং প্রাণ প্রকৃতির সাথে কৃষকের নিবিড় সম্পর্কের কথা সংগীতের মাধ্যমে জানান।
অংশগ্রহণকারী সূর্যমুখী নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী মিতা রানী, অংশগ্রহণ কারী হাসিনা, লতা, কনিকা সহ অন্যান্যরা বলেন, ধুমঘাট এগ্রোইকোলজি লার্নিং সেন্টার থেকে আমরা বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ, প্রানী সম্পদ পালন, প্লাস্টিকের পুনঃব্যবহার, ভার্মি কম্পোস্ট ও অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারি ।
কর্মশালায় নেপালের পারমাকালচার থেকে আগত এগ্রোইকোলজি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত ৭ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ছবি- শ্যামনগরে জলবায়ু সংকটে টিকে থাকতে স্থানীয় জাতবৈচিত্র্য ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ



















