close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল গণহত্যার সাহস পেত না” — নয়াপল্টনে মির্জা আব্বাসের গর্জন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের দাবি, শহীদ জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে আজ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন এভাবে চলতে পারত না। নয়াপল্টনের প্রতিবাদ মিছিলে তিনি বললেন, জিয়ার মতো নেতৃত্ব থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের ন..

ঢাকা, ১০ এপ্রিল:
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক গণহত্যা ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় দেশব্যাপী প্রতিবাদ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ। এই সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এক শক্তিশালী বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা আজ এমন এক সময় পার করছি, যখন ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের ওপর একের পর এক বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজা, রাফাহসহ পুরো অঞ্চলে চলছে গণহত্যা, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব নিরব। কিন্তু আমাদের স্মরণ করতে হবে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই ছিলেন সেই দূরদর্শী নেতা, যিনি ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় সরাসরি হস্তক্ষেপ করে মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “জিয়া সেদিন যেভাবে কূটনৈতিক শক্তি ও সাহসিকতার মাধ্যমে একটি যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করেছিলেন, আজ তার মতো একজন জাতীয় নেতা থাকলে এই ইসরায়েলি দানবীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যেতো। আমরা মনেপ্রাণে ও কৃতজ্ঞ চিত্তে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করছি।”

সমাবেশে মির্জা আব্বাস উল্লেখ করেন, এই আন্দোলনে শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই অংশগ্রহণ করেননি—এখানে এসেছেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তিনি বলেন, “এই দেশ শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ইসলামের জন্যও সব সময় শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তাই আজ যারা ফিলিস্তিনের ওপর এভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দাঁড়াবে, এটা নিশ্চিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের দেশের সাধারণ জনগণকে, যারা আজকের মিছিলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেছেন। এই একাত্মতা প্রমাণ করে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের কষ্ট আমাদের হৃদয়কে নাড়া দেয়।”

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের ভূমিকারও সমালোচনা করেন। “যারা নিজেদের মানবাধিকার রক্ষার পক্ষপাতী বলে দাবি করে, আজ তারা কেন নীরব? জাতিসংঘ কী করছে? ওআইসি কী করছে? মুসলিম বিশ্ব কি শুধু বিবৃতি দিয়েই থেমে যাবে? প্রশ্ন রাখেন মির্জা আব্বাস।”

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত কর্মীদের হাতে দেখা যায় ফিলিস্তিনের পতাকা, লেখা ব্যানার ও পোস্টার—যেখানে লেখা ছিল “ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “স্টপ কিলিং ইন গাজা”, “ডাউন উইথ ইসরায়েলি টেররিজম”।

বক্তব্য শেষে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ আমাদের পথ দেখায়—অবিচারের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে।

לא נמצאו הערות