ঝালকাঠিতে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ ঝালকাঠির রাজাপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া এসকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, শিক্ষক নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের প্রতি অশালীন আচরণ, অশোভন ভাষা এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আকন নিশ্চিত করেছেন যে, অভিযোগের ভিত্তিতে নাসির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'ছাত্রীদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।'অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিক্ষক নাসির উদ্দিন ছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া, বোরকা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা এবং ছাত্রীদের বাড়িতে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি ক্লাসের সময় নিজের মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, 'আমি কখনো রসিকতা করে কথা বলেছি, হয়তো ভুল হতে পারে। তবে অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে প্রমাণ দেখানো হোক।
'রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে বলেন, 'অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা মেনে চলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর জব্বার বলেন, 'এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'এই ঘটনা সমাজে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন তুলেছে এবং ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষিতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের আচরণ মনিটরিং এবং ছাত্রীদের জন্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়াও, শিক্ষকদের আচরণগত প্রশিক্ষণ এবং নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে শিক্ষাবিদগণ মনে করেন।এই ঘটনার পর, বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং ছাত্রীদের মনোবল রক্ষার জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশ্বাস দিয়েছেন যে, ছাত্রীরা যাতে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ধরনের অভিযোগের দ্রুত সমাধান এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন ঘটনা রোধ করা যায়।ট্যাগস: শিক্ষা, যৌন হয়রানি, ঝালকাঠি, মানবাধিকার, বিদ্যালয়