ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো একটি ব্যতিক্রমী মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি। এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয় গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঝালকাঠি শাখার সদস্যরা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনর্জীবিত করার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলের অবসান ঘটে।
মোমবাতি প্রজ্বলনের আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন এনসিপি ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না। তিনি বলেন, "এই আন্দোলন প্রমাণ করেছে যে ছাত্র সমাজের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম কখনো বৃথা যায় না।" জেলা ছাত্রদল নেতা ইমরান তার বক্তব্যে বলেন, "আজকের এই কর্মসূচি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সমতার জন্য সংগ্রামের প্রতীক।"
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রাইয়ান শাইয়ান বলেন, "আমাদের এই কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মের মাঝে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং অধিকার সচেতনতা জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে।" সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়, যা সেই দিনের স্মৃতিকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়। আয়োজকরা আশা করেন, এই ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতে ছাত্র সমাজের মধ্যে একতার বার্তা পৌঁছে দেবে এবং তাদের সমাজসেবামূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করবে।
প্রতিবেদনের শেষাংশে উল্লেখ করা যায় যে, এই ধরনের কার্যক্রম সমাজে গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জনমতকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এবং ইতিহাসকে পুনরায় স্মরণ করাতে এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।