জবিতে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, কুশপুত্তলিকা দাহ..

sk shahrier hossen avatar   
sk shahrier hossen
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাইকেল চুরির ঘটনায় প্রতিকার চাইতে যাওয়া এক শিক্ষার্থীকে চরম দুর্ব্যবহার এবং কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ..

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাইকেল চুরির ঘটনায় প্রতিকার চাইতে যাওয়া এক শিক্ষার্থীকে চরম দুর্ব্যবহার এবং কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াসউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াসউদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তার মধ্যে, 'রেজিস্ট্রারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে', 'স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার তুই গদি ছাড়', 'তুমি কে আমি কে, ইভান ইভান' ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

 

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত ক্যাম্পাস চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আবারও কিছু শিক্ষক ফ্যাসিস্ট আচরণ করছেন। শেখ হাসিনা ভারত থেকে শিক্ষকদের মদদ দিচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। এমনই একজন শিক্ষক হলেন গিয়াস উদ্দিন। উনার অফিসে গেলে উনি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন। আমরা এমন বদমেজাজি ব্যক্তিকে রেজিস্ট্রার হিসেবে মানি না।”

 

ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখার সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে অযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানোর কারণে। রেজিস্ট্রার ভুলে গেছেন আগের মতো ক্ষমতা দেখিয়ে কিছু হবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে, নাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।”

 

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকেল চুরির ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেজন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব।

 

এসময় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াসউদ্দিন ওই শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা ইভান তাহসীবের প্রতি উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারো পার্সোনাল কিছু চুরি হলে সেটা তার (শিক্ষার্থীর) দায়িত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় পার্কিংয়ের জায়গা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কি ভাত-রুটির ব্যবস্থা করা? গেট আউট, একে বের করে দাও।’ এই কথা বলে তিনি তাদের তার কক্ষ থেকে বের করে দেন।

 

রেজিস্ট্রারের এমন আচরণে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষুব্ধ হয় এবং তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

 

###

Nenhum comentário encontrado