প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর ক্যাম্পাস
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগানে পুরো প্রশাসনিক ভবন চত্বর প্রকম্পিত করে তোলেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়:
"আমার বোন মিছিল করে, প্রশাসন কি করে",
"হল ফি কমাতে হবে",
"ভিসি স্যার কই গেলো, লজ্জা লজ্জা",
"প্রশাসন প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা"
ইত্যাদি প্রতিবাদী ধ্বনি।
চার দফা দাবির সারসংক্ষেপ
১. হল ফি কমানো: বর্তমান ৩৪০০ টাকা ফি অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
২. খাবারের মানোন্নয়ন ও আলাদা ডাইনিং: মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করে আলাদা ডাইনিং চালু করা।
৩. মেডিকেল সেবা: ছাত্রীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার স্থাপন।
৪. ওয়াইফাই সমস্যা সমাধান: অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্কের দ্রুত স্থাপন।
প্রশাসনের নির্লিপ্ত আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বিষয়গুলো জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হল প্রভোস্টকেও এ বিষয়ে বারবার জানানো হয়েছে, কিন্তু তিনি সব দায় এড়িয়ে ICT সেল বা প্রশাসনের ওপর দোষ চাপান।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “ওয়াইফাই সমস্যার সমাধান ১৫ দিনের মধ্যে হবে—এ কথা আজ তিন বছর হলো শুনছি। এখনো সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ নেয়নি। আমরা আর অপেক্ষা করব না।”
স্মারকলিপি প্রদান
বিক্ষোভ শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি স্মারকলিপিও জমা দেন, যেখানে উপরের চারটি দাবির বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের এই প্রতিবাদ শুধু একটি হল নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ছাত্র-কল্যাণ ব্যবস্থাপনার ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।