জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার অভিযোগ করেছেন, অদৃশ্য শক্তির প্ররোচনায় নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক দিতে অস্বীকার করছে এবং এনসিপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চাইছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘আদৃশ্য শক্তির পরামর্শে’ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) তাদের ন্যায্য প্রতীক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। সম্প্রতি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের এক কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে তিনি ইসির ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে ইসি প্রথম থেকেই তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে। তারা বারবার শাপলা প্রতীক চেয়েছেন, কিন্তু কমিশন বলছে এটা দেওয়া যাবে না। কেন দেওয়া যাবে না—সেই প্রশ্নের কোনো যৌক্তিক উত্তর বা ব্যাখ্যা তারা দিচ্ছেন না। ইসির পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছে, শাপলা নাকি বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক, যদিও তুষার এই দাবিকে ভুল প্রমাণ করেছেন এবং বলেছেন শাপলা কোনোভাবেই জাতীয় প্রতীক নয়।
এনসিপি নেতা দাবি করেন, এই প্রতীক না দেওয়ার পেছনের কারণ ভিন্ন। ইসি চায় না জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচনে আসুক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এই জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে।” আর ঠিক সেই কারণেই, ইসি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আদৃশ্য শক্তির পরামর্শ ও আশকারা পেয়ে এনসিপিকে ন্যায্য হক থেকে বঞ্চিত করছে।
তুষার জোর দিয়ে বলেন, শাপলা প্রতীক কেবল একটি চিহ্ন নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের অন্তরের ভালোবাসা ও আবেগের প্রতীক। অথচ কমিশন তাদের খাট, পালঙ্ক, চেয়ার, টেবিলের মতো প্রতীক নিতে বাধ্য করছে।
সারোয়ার তুষার ইসির এমন আচরণকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, “আপনাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আগামীতে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটার পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই ইলেকশন কমিশন নিজে।”
ইসির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা না হয় এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তবে "ইলেকশন কমিশন বাংলাদেশ থেকে পালানোর জায়গা পাবে না।"
এনসিপি’র এই নেতা মনে করেন, প্রতীক বিতর্কের মধ্য দিয়ে ইসি আসলে অদৃশ্য শক্তির নির্দেশে একটি বিশেষ দলকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।