জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে: প্রেস সচিব..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In the upcoming national election, 60,000 army personnel will serve as a striking force. The decision was confirmed by the press secretary to the Chief Adviser after a high-level security meeting.

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি জোরদার করা হচ্ছে। নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেস সচিব জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৬০ হাজার সেনা সদস্য এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছ থেকে রিপোর্ট গ্রহণ করেছেন। পুলিশ প্রধান বৈঠকে জানিয়েছেন, নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব জায়গায় অস্থিরতা বা উত্তেজনা দেখা দিতে পারে, সেসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল নিয়েও আলোচনা হয়। তবে সব জেলায় বা বিভাগে রদবদলের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, মিলিটারি সেক্রেটারি, সশস্ত্র বাহিনীর পিএসসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠক ও সিদ্ধান্তগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, যাতে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

No se encontraron comentarios