ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় যুবশক্তির সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম। এক বিবৃতিতে তিনি দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, মোবারকবাদ ও ভালোবাসা জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় ডা. জাহেদুল ইসলাম বলেন, “ঈদুল আজহা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়-এটি আত্মত্যাগ, ত্যাগ স্বীকার এবং মানবতার চূড়ান্ত অনুশীলনের প্রতীক। ঈদের প্রকৃত তাৎপর্য নিহিত আছে নিজেকে শুধরে নেওয়া, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে।”
তিনি বলেন, “আজকের যুবসমাজ কেবল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নয়, তারা এই সময়ের চালিকাশক্তি। জাতীয় যুবশক্তি বিশ্বাস করে, আত্মত্যাগ ও ন্যায়ের শিক্ষা যদি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রতিফলিত হয়, তবে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।”
ডা. জাহেদুল ইসলাম রাজনীতিতে নৈতিকতা ও ত্যাগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “আমরা এমন এক রাজনীতি গড়ে তুলতে চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ মর্যাদা পায়, ত্যাগের রাজনীতি শক্তি পায়, আর বিভাজনের পরিবর্তে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ঈদ আমাদের সুযোগ করে দেয় নতুনভাবে চিন্তা করার, বিভাজনের দেয়াল ভেঙে ফেলার এবং মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার শপথ নেওয়ার। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ কোনো একক দলের নয়, কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির নয়-এটি প্রতিটি নাগরিকের।”
ঈদুল আজহার শিক্ষা ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ঈদের দিন যেমন ধনী-গরিব, শক্তিশালী-দুর্বল এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তেমনি আমাদের রাজনীতিকেও হতে হবে ন্যায়নিষ্ঠ, মানবিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক।”
জাতীয় যুবশক্তির পক্ষ থেকে তিনি নতুন অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে বলেন, “এই ঈদে আমরা অঙ্গীকার করি-আমরা রাজনীতি করবো ত্যাগের ভিত্তিতে, সুবিধাবাদের নয়। আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়বো যেখানে যুবকেরা শুধু চাকরি খুঁজবে না, বরং নেতৃত্ব দেবে।”
সবশেষে ডা. জাহেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি-নারী, শ্রমজীবী, কৃষক, ছাত্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তরুণ সমাজ-সবাই মিলেই হবে জাতীয় কণ্ঠ। ঈদের এই পবিত্র দিনটি হোক আত্মশুদ্ধি, ন্যায়ের সমাজ গঠন এবং দায়িত্বশীল রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা। আসুন, ঈদ হোক আত্মবিশ্বাসের, সামাজিক পরিবর্তনের এবং দায়িত্ববোধের উৎসব।”