জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রকাশ পাচ্ছে। দুপুর ১২টায় এই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফল প্রকাশ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে আইসিটি ভবনের কনফারেন্স কক্ষে একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
এইবারের ভর্তি পদ্ধতি আগের চেয়ে ভিন্ন এবং ঐতিহাসিক বলেই ধরা হচ্ছে। কারণ, টানা ৮ বছর পর আবারও সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। তবে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সেটি বাতিল করে শুধুমাত্র এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম চালানো হয়।
এবার, ৮ বছর পর আবারো চালু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা, যা হয়েছে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) পদ্ধতিতে।
- 
পরীক্ষাটি ছিল ১০০ নম্বরের। 
- 
সময় ছিল ১ ঘণ্টা। 
- 
পাস নম্বর ৩৫। 
- 
প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর। 
- 
ভুল উত্তরে কোনো নম্বর কাটা হবে না। 
মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তিনটি অংশের নম্বর যোগ করে:
- 
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর (১০০ নম্বর) 
- 
এসএসসি জিপিএ’র ৪০% (চতুর্থ বিষয়সহ) 
- 
এইচএসসি জিপিএ’র ৬০% 
সব মিলিয়ে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে চূড়ান্ত মেধাতালিকা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী,
- 
দেশের ৮৮১টি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। 
- 
এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি কলেজ, আর বাকি ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। 
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪,৩৬,২৮৫টি।
ভর্তির সময় নিচের কোটাগুলো সংরক্ষিত রাখা হবে —
- 
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান: ৩টি 
- 
আদিবাসী: ১টি 
- 
প্রতিবন্ধী: ১টি 
- 
পোষ্য কোটা: ৩টি 
 (প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ থাকবে।)
কীভাবে ফলাফল দেখা যাবে?
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দুপুর ১২টার পর থেকে ফলাফল দেখতে পারবেন।
সাথে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানার সুযোগ থাকছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিতে এই পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বড় এক ধাপ বলে মনে করছেন অনেকেই।
এটি ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ভর্তির পথ সুগম করবে বলেই আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			