close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
থাইল্যান্ডে পাড়ি দিতে গিয়ে বিমানবন্দর থেকে আটক, গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার, তারপর আবার জামিন—এক ঝড়ের মধ্য দিয়ে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। কী আছে এই মামলায়? কেন নাম এলো ২৮৩ আসামি..

জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া: হত্যাচেষ্টা মামলায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকাই শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উত্তপ্ত দেশের মিডিয়া এবং রাজনৈতিক অঙ্গন। গুলি করে হত্যাচেষ্টা, রাজনৈতিক আন্দোলন, বিদেশে পালানোর চেষ্টা এবং জামিন—সব মিলিয়ে যেন এক পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটক।

মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। তার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

এই ঘটনার সূত্রপাত মূলত গত ১৮ মে, যখন থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে। তাকে পরে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখানো হয়।


কী আছে মামলার ভেতরে?

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই ২০২৪, রাজধানীর ভাটারা এলাকায় চলছিল ‘জুলাই আন্দোলন’। এই আন্দোলনে অংশ নেন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ রয়েছে, সেদিন আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল, গুলি লাগে তার পায়ে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার দীর্ঘ সময় পর, চলতি বছরের ৩ মে, এনামুল হক নিজেই মামলা করেন। সেই মামলায় চমকে ওঠে সবাই—কারণ অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের খ্যাতনামা ১৭ জন শিল্পীসহ মোট ২৮৩ জনের। সেই তালিকায় ২০৭ নম্বরে নাম উঠে আসে নুসরাত ফারিয়ার।

মামলায় বলা হয়, নুসরাত ফারিয়া শুধু এই আন্দোলনের সহানুভূতিশীল নন, বরং আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।


আদালত থেকে কারাগার এবং জামিনের যাত্রা

নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের পর ১৯ মে সোমবার, তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানায় তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে, ফারিয়ার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে একদিন পরই ২০ মে, জামিনের জন্য পুনরায় আবেদন করা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন দেন।


তারকার মামলায় ভিন্নমাত্রা

এ মামলার কারণে আবারও সামনে উঠে এসেছে তারকাদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকে মুখে কুলুপ আঁটলেও, জনমনে প্রশ্ন—তারকারা কি শুধু বিনোদনের সীমায় থাকছেন, নাকি নেপথ্যে বড় কোনো রাজনৈতিক ভূমিকায় জড়িয়ে পড়ছেন?

এমন প্রশ্নই জোরালো হয়েছে, যখন এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম উঠে এলো হত্যাচেষ্টা ও রাজনৈতিক সহিংসতার মামলায়। শুধু তাই নয়, তাকে বিদেশে পালানোর চেষ্টার সময় আটকের ঘটনাও আরও জটিল করে তোলে পরিস্থিতিকে।


শেষ কথা

নুসরাত ফারিয়ার জামিন পাওয়া যদিও তাকে আপাতত মুক্তি দিয়েছে, তবে মামলার তদন্ত চলমান। তার বিরুদ্ধে থাকা অর্থায়নের অভিযোগ ও সহিংসতায় জড়িত থাকার দাবি—এসবের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।

এখন সবার দৃষ্টি পরবর্তী শুনানির দিকে। নুসরাত ফারিয়া কি পারবেন নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ প্রমাণ করতে? নাকি এই মামলা তার তারকা জীবনে বড় কোনো ছায়া ফেলে যাবে?

নতুন তথ্য ও পরবর্তী আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের পোর্টালে।

Keine Kommentare gefunden