close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইউনূস-তারেক বৈঠক সফল, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে : আমীর খসরু..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বৈঠক নিয়ে দেশে ফিরে মুখ খুললেন আমীর খসরু। বললেন, এই আলোচনায় জনগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা..

লন্ডন থেকে ফিরে জাতিকে স্বস্তির বার্তা দিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। যুক্তরাজ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, "জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অবশেষে সফল হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যে বৈঠকটি হয়েছে, তা শুধু বিএনপির নয়—পুরো জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।

আমীর খসরু জানান, সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে ব্যাপক সংস্কারের আলোচনা বৈঠকে হয়েছে, যা দলীয় সমঝোতার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে। “সংস্কার হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে, এবং এটা হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগবে না,”—বলেন তিনি।

তিনি আরও যোগ করেন, “বিএনপি গণতন্ত্রের পথেই থাকবে। আমরা কোনো সংঘাতে যাব না। কিন্তু আমাদের অধিকার আদায়ে আপোষ করবো না।

তিনি উল্লেখ করেন, “গত দুই দশকে এই দেশের মানুষ প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তরুণ প্রজন্ম—যারা এখন সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন চায়—তারা কখনোই স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এবার পরিবর্তনের সময় এসে গেছে।”

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে জনগণের মধ্যে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা দীর্ঘদিন ধরেই জেগে ছিল। তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠক যদি একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক রূপরেখার ভিত্তি হয়, তবে তা আগামী নির্বাচনের দৃশ্যপটই পাল্টে দিতে পারে।

 

আমীর খসরুর বক্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপি এবার আন্দোলনের বদলে কৌশলগত আলোচনার পথ বেছে নিয়েছে। তাঁর মতে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই। আর এই লক্ষ্যেই লন্ডনে বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসনিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের ভূমিকা।

 

বৈঠকটি লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়ায়, এটি আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহী। ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক সেই আলাপচারিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

 

একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে—এই বিশ্বাস নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে।

Nenhum comentário encontrado