close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে নতুন এক অঘটন ঘটেছে, যেখানে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিলেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গতকাল, ১৪ ডিসেম্বর, এক ভাষণে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রুশ বাহিনীর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনারা অংশ নিয়েছেন। এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার সেনাদের প্রথম সক্রিয় অংশগ্রহণ, এবং এটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য এক নতুন যুদ্ধfrontে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
জেলেনস্কি জানান, ‘‘আমরা প্রাথমিক তথ্যে জানি যে, রুশ বাহিনীর সঙ্গে একত্রে যুদ্ধরত অনেক উত্তর কোরীয় সেনা কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, উত্তর কোরীয় সেনারা রুশ বাহিনীর সম্মিলিত ইউনিটের অংশ হয়ে কাজ করছেন এবং এই মুহূর্তে শুধুমাত্র কুরস্কে সক্রিয়। তবে, প্রাথমিক তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে, উত্তর কোরীয় সেনাদের অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘‘এটি আমাদের জন্য নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।’’ তিনি জানান, ইউক্রেনের জন্য এই নতুন পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, এবং তাই পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও জোরালো সমর্থন প্রার্থনা করেছেন। আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া এখনও এই তথ্যটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। তবে, এ ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও খোলামেলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন ইউক্রেনের জন্য নতুন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, যেখানে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার যৌথ আক্রমণ ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য বিরাট এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমা শক্তির নতুন পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি