গাজায় জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে ভূমিকা রাখায় আরব দেশ ও মুসলিম নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলি পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই ঐক্যই শান্তি ও নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
গাজায় জিম্মিদের মুক্তির জন্য সম্পাদিত ঐতিহাসিক চুক্তিতে আরব দেশগুলো এবং মুসলিম নেতাদের অবদানকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলি পার্লামেন্টে দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি — এমন অনেকের কাছ থেকেও, যা হয়তো অনেকে ভাবতেও পারেননি। আমি তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
ট্রাম্পের এই বক্তব্যে উপস্থিত সংসদ সদস্য ও অতিথিদের মধ্যে প্রশংসার সাড়া পড়ে যায়। তিনি উল্লেখ করেন, হামাসের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে জিম্মিদের মুক্ত করতে আরব দেশগুলোর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত কার্যকর। ট্রাম্প বলেন, “এটি শুধু ইসরায়েলের নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য এক বিশাল সাফল্য। এই দেশগুলো প্রমাণ করেছে, শান্তির জন্য একসাথে কাজ করা সম্ভব।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “শান্তি কোনো এক দেশের একক অর্জন নয়; এটি তখনই বাস্তব হয়, যখন মানবতা একত্রিত হয়। মুসলিম বিশ্বের নেতারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন এক ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও আরব বিশ্বের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে এই প্রশংসা এক নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে।
বক্তৃতার শেষাংশে ট্রাম্প বলেন, “এই সহযোগিতা প্রমাণ করেছে—বিভেদ নয়, ঐক্যই পারে বিশ্বে শান্তি আনতে। আজ আমরা একসাথে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছি, মানবতার জয় সব কিছুর ওপরে।”
ইসরায়েলি সংসদে ট্রাম্পের বক্তব্যকে অনেকেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন, যেখানে এক মার্কিন নেতা সরাসরি মুসলিম বিশ্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটি ভবিষ্যতে ইসরায়েল-আরব সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সহায়ক হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।