close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা: মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও, তরুণদের সাহসী স্লোগানে কাঁপলো শহর!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকার রাজপথ। মার্কিন দূতাবাসের সামনে একদল সাহসী তরুণ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিল। পুলিশের কড়া পাহারা, সেনা সদস্যদের মানবপ্রাচীর—তবুও থা..

ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ—সাহসী তরুণদের সোচ্চার প্রতিবাদে কাঁপলো রাজধানী

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক ও নিষ্ঠুর হামলার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকার বুকে দেখা মিলেছে সেই প্রতিরোধের স্পষ্ট চিত্র। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল গড়িয়ে দুপুরে, মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কজুড়ে একদল তরুণের দৃপ্ত পদচারণা দেখে থমকে গেছে সময়। তারা শুধু দাঁড়ায়নি—তারা গর্জেছে, স্লোগানে স্লোগানে কাঁপিয়েছে পুরো এলাকা।

বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেয়। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। রাস্তার একপাশে তৈরি হয় মানসিক চাপ এবং ভিন্নরকম উত্তেজনা। পরিস্থিতি যেন আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়—এই লক্ষ্যে সেখানে মোতায়েন ছিল পুলিশের একাধিক দল।

একদিকে তরুণদের প্রতিবাদ, অন্যদিকে দূতাবাসের সামনে কড়া নিরাপত্তা বলয়। সকাল থেকেই দূতাবাস ঘিরে রাখে সেনা সদস্যরা। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হয় সাধারণ মানুষের ওপরও। যেন পুরো এলাকা এক যুদ্ধক্ষেত্র—তবে যুদ্ধটা অস্ত্রের নয়, বিবেকের।

এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী আবেগ ছুঁয়ে যাওয়া কণ্ঠে বলেন,

“গাজায় বিজয় হবেই হবে। যতদিন পৃথিবী আছে, ততদিন ইসলামের ভূমিকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। আমরা নিরস্ত্র, কিন্তু নত না।”

পাশাপাশি, ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক মাহমুদ জানান,

“ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে নতুন বাজার পর্যন্ত মিছিল করেছে। তারা কিছু সময় অবস্থান করবে, তারপর চলে যাবে।”

এ প্রতিবাদে শুধু দূতাবাস এলাকায় নয়, শহরের অন্যান্য স্থানেও প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকেই বাড্ডার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তাদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় অসংখ্য স্লোগান—

  • “ফ্রি, ফ্রি ফিলিস্তিন!”

  • “ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে!”

  • “আমরা কারা? তোমরা কারা? ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!”

এই দৃশ্য শুধুমাত্র ঢাকার নয়, গোটা বিশ্বের মুসলিম এবং মানবতাবাদীদের অন্তরে শক্ত প্রতিধ্বনি তুলেছে। একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—অবিচার আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই প্রজন্ম মুখ বুজে থাকবে না।

বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ, কিন্তু তা ছিল অনড়, দৃপ্ত, এবং দৃঢ়।

বিশ্লেষকদের মতে, এধরনের প্রতিবাদ শুধু আবেগ নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও মানবিক বার্তা। মার্কিন দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে এই তরুণেরা যেন বলে দিল, "আমরা শুধু ফিলিস্তিনের জন্য নয়, মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি।"


সংক্ষেপে এই প্রতিবাদের মূল বার্তা:

  • গাজায় নিরীহ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ

    • ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করে বিক্ষোভ
  • সেনা ও পুলিশি ঘেরাওয়ের মধ্যেও সোচ্চার তরুণেরা

  • স্লোগানে মুখরিত রাজধানীর রাজপথ

  • নতুন প্রজন্মের সাহসী বার্তা—আমরা নিরব নই!

لم يتم العثور على تعليقات