close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলের হামলার পর থেকে অন্তত ৪৩০ জন নিহত ,ইরান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৩০ এর বেশি। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিদিন বাড়ছে যুদ্ধের তীব্রতা, যেখানে দুই অঞ্..

মধ্যপ্রাচ্যের জটিল পরিস্থিতি এবার এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জেরে ইরানে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের হামলার পর থেকে ইরানে অন্তত ৪৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ জন, যা এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় নূর সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে শনিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই প্রথমবার ইরানের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করল, যা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের প্রকৃত মাত্রা তুলে ধরেছে।অপরদিকে, ইসরায়েলও এই সংঘাতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে ২৫ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আহতের সংখ্যা দুই হাজার ৫১৭ জনে পৌঁছেছে।

ইরান ও ইসরায়েল—মধ্যপ্রাচ্যের দুটি শক্তিধর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী—নবম দিনের মতো একে অপরের উপর হামলা চালাচ্ছে। ১৩ জুন, শুক্রবার, ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই সংঘাতে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।এই সংঘাতের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা দ্রুত কমার কোনো চিহ্ন নেই এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তৎপর হতে হবে। এছাড়াও, সাধারণ মানুষ এই সংঘাতের প্রভাবে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন, যেখানে মৃত্যুর পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ গৃহহীন ও আহত হয়ে পড়েছে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এ সংঘাত শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে বাস্তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের আলোচনা বা যুদ্ধবিরতির লক্ষণ দেখা যায়নি।ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আহতদের অধিকাংশই নাগরিক এবং শিশু। হাসপাতালগুলো ভর্তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা ২৪ ঘণ্টা দৌড়ে চেষ্টা করছেন আহতদের সেবা দিতে।

এদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের সুরক্ষায় এই হামলা চালাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যে কোনো হুমকির মোকাবিলা করবে। এই দ্বিপাক্ষিক সংঘাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই জ্বলন্ত ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারলে এই সংঘাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Nenhum comentário encontrado