close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি ইরানের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলো ইরান। বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি জানায়, ফাতাহ মিসাইল হামলায় ইসরায়েলের আকাশসীমা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবেই ..

তেহরান থেকে বিশ্বজুড়ে শোরগোল—ইসরায়েলের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন ইরানের হাতে!
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার আবহে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) সম্প্রতি একটি বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, তারা সফলভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে ইসরায়েলের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ফাতাহ নামক তাদের সর্বাধুনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে তুলেছে। এই হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে—ইসরায়েল এখন আর তার আকাশসীমা রক্ষা করতে সক্ষম নয়। আইআরজিসির ভাষায়, “টেলআবিবের আকাশ এখন আমাদের হাতে। ইসরায়েলি জনগণ ইরানি প্রতিশোধের সামনে এখন অসহায়।”

ইরানের দাবি অনুযায়ী, তাদের ফাতাহ মিসাইল অত্যন্ত গতিশীল, রাডার প্রতিরোধী এবং হাইপারসনিক গতির অধিকারী। যা সোজা গিয়ে ইসরায়েলের ডোম সিস্টেম ভেদ করেছে। ইসরায়েল এর আগে দাবি করেছিল, তারা ডেভিড’স স্লিং ও আয়রন ডোম দিয়ে আকাশপথ নিরাপদ রেখেছে। কিন্তু ইরান বলছে, বাস্তব হামলার মুখে সেই সব প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগেই মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করে বলেছিলেন, “ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমাদের নিতে হবে। তাদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই।” এই বক্তব্যের কিছু দিনের মধ্যেই আইআরজিসির এই পাল্টা দাবি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণকে নাড়া দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের এই ঘোষণা শুধুমাত্র মনস্তাত্ত্বিক চাপ নয়, বরং সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি কৌশলী কূটনৈতিক চাল। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টার বিপরীতে এই ‘আকাশ দখলের’ দাবি একটি পরোক্ষ হুমকি, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবির জবাব দেয়নি। তবে দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, “কোনো বহিঃশত্রুর দাবিতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যূহ ভাঙবে না। প্রতিটি হামলার জবাব উপযুক্ত সময়ে দেওয়া হবে।”

এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগে। যদি ইরানের দাবি সত্য হয়, তাহলে ইসরায়েলের আকাশপথ দিয়ে পরবর্তী সময়ে সরাসরি হামলা চালানো সম্ভব হতে পারে। যা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে আবারও এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের উত্তাপ বহু পুরনো। তবে এই প্রথমবার তেহরান সরাসরি আকাশসীমা দখলের দাবি করে চরম মাত্রার এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো। ট্রাম্পের আগুনঝরা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমন ঘোষণা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব রাজনীতিকেও কম্পিত করে তুলেছে।

没有找到评论