close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দিলেন খামেনি – শাস্তির হুমকিতে স্পষ্ট অঙ্গীকার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলার জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন— জায়নবাদী শত্রুরা বড় ভুল করেছে, তার চরম মূল্য দিতে হবে। চলমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যকে ঠ..

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে এখন যুদ্ধের গন্ধ। টানা ১০ দিনের সংঘাতের পরও থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আরও তীব্র হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, যার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়ে দিয়েছেন— ক্ষমা নয়, এবার শাস্তি হবে অবশ্যম্ভাবী।

২৩ জুন (সোমবার), আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলার ঘটনার পর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) এক কঠোর বার্তা দেন। তিনি বলেন, “জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে। তাদের এই অপরাধের শাস্তি তারা অবশ্যই পাবে। আর তারা ইতিমধ্যেই সে শাস্তি পেতে শুরু করেছে।

গত ১৩ জুন হঠাৎ করে ইরানের ভেতরে চালানো হয় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই অভিযানে ইরানের কমান্ড শীর্ষে থাকা বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সেনাপ্রধান, ২০ জনের বেশি শীর্ষ কমান্ডার এবং কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন।
এই হামলা ইরানের ভেতরে রাজনৈতিক ও সামরিক স্তরে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। দেশটি সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে— ছায়াযুদ্ধ বাস্তবে রূপ নেয়।

যখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তাপ বাড়ছে, তখন ২১ জুন রাতে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে বড় ধরনের আঘাত হানে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ক্লাস্টার বোমা হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এটি ছিল সংঘাতের সবচেয়ে বড় মোড়।
বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধের মাঠে নেমেছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই খামেনি নিজের সরকারি বাসভবন ছেড়ে একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে, কেবলমাত্র নির্ধারিত নিরাপত্তা কমিটি ও বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান হচ্ছে।
তিনি আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইসরায়েল তাঁকে হত্যা করতে পারে— কারণ, ইরানের নেতৃত্বে তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি। এরইমধ্যে তিনি ইরানে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া কীভাবে পরিচালিত হবে, তা সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন।

খামেনির সাম্প্রতিক বিবৃতিতে প্রতিশোধের যে বার্তা এসেছে, তা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি শুধু শাস্তির কথা বলেননি, বলেছেন তা চলেই এসেছে এবং আরও আসবে।
এই বক্তব্য শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এক ধরনের যুদ্ধঘোষণা হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে এখন সবচেয়ে উত্তপ্ত অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্য। ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ পরিস্থিতিকে করে তুলেছে অনিশ্চিত ও অস্থিতিশীল। আয়াতুল্লাহ খামেনির প্রতিশোধের অঙ্গীকার বাস্তবে কী রূপ নেয়— তা এখন কেবল সময়ই বলে দেবে।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator