close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইসলামী ব্যাংকের এমডি’র পদত্যাগ ঘিরে চরম উত্তেজনা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলার পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় তা
ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলার পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় তার নাম উঠে আসার পর থেকে তিনি অফিসের কাজ বাসায় বসেই পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। মামলার তদন্তে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর, তার পদ ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে মামলার আসামি এমডি চট্টগ্রামের দুদকের মামলায় মনিরুল মওলা ছাড়াও আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিক, তার ছেলে, এবং ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২১ সালে মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের নামে জালিয়াতি করা হয়। ব্যাংকিং আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো এমডি, চেয়ারম্যান বা পরিচালক যদি নিজের স্বার্থে ব্যাংকের তহবিল অপব্যবহার করেন বা মানি লন্ডারিংয়ে যুক্ত থাকেন, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে তাদের অপসারণ করতে পারে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত ব্যক্তি পদত্যাগ করলেও তা কার্যকর হবে না, যা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা সহজ করে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ইসলামী ব্যাংকের এমডি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থতার কারণে বাসা থেকে কাজ করছেন এবং শীঘ্রই অফিসে ফেরার কথা রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালক তার পদ ধরে রাখার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কীভাবে আত্মসাৎ করা হয় ব্যাংকের অর্থ মামলার তথ্য অনুযায়ী, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের জন্য আবেদন করা হয়। ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা যাচাই না করেই অনুমোদন দেন। পরে এই অর্থ এস আলম গ্রুপ তাদের ব্যবসায়িক ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করেছে। এর ফলে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। আসামিদের তালিকা মামলায় এস আলম গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এবং ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ মোট ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে। কেন এই খবর গুরুত্বপূর্ণ? ইসলামী ব্যাংক দেশের অন্যতম বৃহৎ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক। এর এমডি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। জনগণের আমানতের সুরক্ষা এবং ব্যাংকিং খাতের আস্থা পুনরুদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। হেডলাইন: "ইসলামী ব্যাংকের এমডি’র পদত্যাগ নিয়ে উত্তেজনা: ১,০৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার আসামি
לא נמצאו הערות