close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ভোট কারচুপির অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ..

ভোট কারচুপির অভিযোগের ভিত্তিতে রায়

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

মামলার শুনানি শেষে আদালত রায়ে বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে শেখ ফজলে নূর তাপসের মেয়র পদ বাতিল করে নতুন মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে ঘোষণা করা হলো।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত শেখ ফজলে নূর তাপসের সরকারিভাবে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হয়েছে এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া

ইশরাক হোসেনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, “আমরা আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে প্রমাণ করেছি যে এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আদালত আমাদের যুক্তি গ্রহণ করেছেন এবং সঠিক বিচার করেছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।”

পূর্বের বিতর্কিত নির্বাচন

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণে শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ভোটের গেজেট প্রকাশ করে এবং তারা শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

তবে সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন নির্বাচনী অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে আদালতে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদের রায় নতুন করে ঘোষণা করা হলো।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ভোটের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ১৮০ দিনের মধ্যে রায় প্রদান করে। সংক্ষুব্ধ পক্ষ চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারে, যা ১২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়।

এই রায়ের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজনীতিতে নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, সরকারপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে কি না।

कोई टिप्पणी नहीं मिली