ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে আবারও আলোচনা শুরু করার আহ্বান জি-৭ দেশগুলোর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জি-৭ দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দ্রুত আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে, পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সকল পক্ষের দায়িত্বজ্ঞান জরুরি বলে জোর দিয়েছে।..

বিশ্বের শক্তিশালী সাত শিল্পোন্নত দেশ জি-৭ সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে আবারও আলোচনার পথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি স্বাগত জানিয়ে, তারা এখন একটি ‘বিস্তৃত, যাচাইযোগ্য ও টেকসই চুক্তি’ গঠনের লক্ষ্যে অবিলম্বে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে।

সোমবার (৩০ জুন) প্রকাশিত জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মোকাবিলায় এবং পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে আলোচনা প্রয়োজন। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে শান্তি চুক্তির চেষ্টা চলছে, যদিও ইসরায়েলসহ পশ্চিমা মিত্ররা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সন্দিহান।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। সেই সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং ইরান পাল্টা কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়।

এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে জি-৭ দেশগুলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সকল পক্ষকে অস্থিরতা সৃষ্টির মতো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এই আলোচনাকে ‘আশাব্যঞ্জক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে রাখা প্রয়োজন। যদিও ইরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক চুক্তির সদস্য, ইসরায়েল সেই চুক্তিতে নেই, যা আরও জটিলতা তৈরি করে।

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা IAEA নিশ্চিত করেছে, ইরানে কোনও সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পাওয়া যায়নি যা তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তবে নিরাপত্তার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরি।

জি-৭ দেশগুলোর এই আহ্বান কূটনীতিতে একটি নতুন বার্তা বহন করছে, যা ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার পথ খুলে দিতে পারে। বিশ্ব এখন দেখছে, পারমাণবিক ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কী ধরনের কূটনৈতিক চুক্তি সম্ভব হবে এবং সেই চুক্তি কতটা কার্যকরী হবে।

এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও ধৈর্যের প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে। ইরানের পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে নতুন আলোচনা হলে সেটা বিশ্বের জন্য স্বস্তির খবর হবে, পাশাপাশি অঞ্চলটির দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও গণ্য হবে

No comments found