close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরানের ফরদো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা কঠিন: সাবেক পরমাণু পরিদর্শক..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতিসংঘের সাবেক পরমাণু পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইট জানিয়েছেন, ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক ঘাঁটি এমন এক গভীরতায় অবস্থিত যা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়েও ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ঘাঁটিটি প..

বিশ্ব রাজনীতিতে যখন ইরানকে ঘিরে পারমাণবিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা নিচ্ছে, তখন এক বিস্ফোরক মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও গভীর ভাবনার জন্ম দিলেন জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থার (IAEA) সাবেক পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইট। তিনি সরাসরি বলেছেন—ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনা এমন এক জায়গায় ও এমন গভীরতায় তৈরি করা হয়েছে, যা ‘ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব’।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত পারমাণবিক বিশ্লেষক ডেভিড অলব্রাইট এ কথা বলেন বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ-এ দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে।

তিনি জানান,

ইরানের ফোর্দো ঘাঁটি মাটির অন্তত ৮০ মিটার গভীরে অবস্থিত। এ রকম কৌশলগত গভীরতা থেকে বোঝা যায়, স্থাপনাটি কেবল চোখে দেখার জন্যই নয়, আক্রমণ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যেই নির্মিত।”

 

ডেভিড অলব্রাইট বলেন, ইরাকে কাজের সময় গোপন পারমাণবিক কর্মসূচি খুঁজে বের করতে গিয়ে তাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা IAEA'র পরিদর্শন কৌশলকে অনেক শক্তিশালী করেছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের গোপন প্রকল্পের পেছনের কার্যকলাপ বুঝতে ও সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

তবে তিনি এ-ও বলেন,

 

বর্তমানে ইসরায়েল যেসব স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা সম্ভব হলেও, ফোর্দো ঘাঁটির মতো স্থাপনাগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী দেশের প্রযুক্তির প্রয়োজন।”

ফোর্দো স্থাপনাটি ইরান নির্মাণ করেছে তার জাতীয় পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে। পশ্চিমাদের মতে, এই কর্মসূচির পেছনে সামরিক উদ্দেশ্য লুকানো রয়েছে। যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এত গভীরে ঘাঁটি নির্মাণ ইঙ্গিত দেয়—ইরান ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল হিসেবে এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ডেভিড অলব্রাইট স্পষ্ট করে বলেন,

যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ফোর্দো ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষে সেটি কঠিন। ইসরায়েল কেবল ওই স্থানকে দীর্ঘমেয়াদে অকেজো করে রাখতে পারবে, সম্পূর্ণ ধ্বংস নয়।”

এ বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় তোলে। কারণ, এটি পশ্চিমা দেশগুলোর ইরানবিরোধী কৌশল, বিশেষ করে ইসরায়েলি অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলেছে।

 

বিশ্ব যখন ইরানকে ঘিরে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের দোলাচলে, তখন ফোর্দোর মতো ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে:
 কতটা প্রস্তুত ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র এমন প্রতিরক্ষা-কঠিন স্থাপনা ধ্বংসে?
 আর কতটা সময় শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির নামে সামরিক সক্ষমতা লুকিয়ে রাখা সম্ভব?

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফোর্দো কেবল একটি স্থাপনা নয়—এটি মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংঘাতের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator