ইরানে হামলার নাম ‘অপারেশ রাইজিং লায়ন’ ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেল থেকে রেখেছে ইসরায়েল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার কেন্দ্রে এখন ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নামেই চালানো হচ্ছে ভয়াবহ সামরিক অভিযান। কী রয়েছে এই নামের পেছনে? কেন বেছে নেওয়া হলো বাইবেলের বাণ..

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। ১৩ জুন ইরানি সময় ভোরে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এক নতুন অধ্যায়—যা অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলেও আশঙ্কা করছেন।
ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত এই সামরিক অভিযানের নাম ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ যা শুধু একটি কৌশলগত নাম নয়, বরং এক গভীর ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।

ইসরায়েলের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা ইরানে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছি। এটি কোনো সাধারণ প্রতিক্রিয়া নয়, এটি এক লক্ষভিত্তিক অভিযানের সূচনা, যার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ ইরানি ঝুঁকিকে নির্মূল করা।

নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে শোরগোল পড়ে যায়—এই ‘রাইজিং লায়ন’ নামটা আসলে কোথা থেকে এলো?

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) নিশ্চিত করেছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামটি নেওয়া হয়েছে হিব্রু বাইবেলের ‘বুক অব নম্বর’-এর ২৩:২৪ আয়াত থেকে। আয়াতে বলা হয়েছে:

দেখো, এই জাতি এক মহাসিংহের মতো জেগে উঠবে এবং নিজেকে মেলে ধরবে এক যুবক সিংহের মতো। যতক্ষণ না শিকারের রক্ত পান করবে, ততক্ষণ সে থামবে না।”

এই আয়াত মূলত বালাম বিন বেওর নামক এক রহস্যময় জ্যোতিষীর উপাখ্যানের অংশ। তিনি ছিলেন অ-ইসরায়েলি এক ভবিষ্যদ্বক্তা, যাঁকে মোয়াবের রাজা বালাক আমন্ত্রণ জানান ইসরায়েলিদের অভিশাপ দিতে।

没有找到评论