close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না’, জি-৭ এর যৌথ বিবৃতি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে জি-৭ জোট জানিয়ে দিল—ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না, এটা বিশ্বের কাছে অঙ্গীকার। শুধু বিবৃতি নয়, এটা কৌশলগত হুঁশিয়ারি—যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ সংঘর্ষ কিংবা ঠান্ড..

বিশ্ব যখন ক্রমশ সংঘর্ষের মুখোমুখি, তখনই বিশ্বের সাতটি শক্তিধর অর্থনৈতিক রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম জি-৭ থেকে এসেছে এক জোরালো বার্তা—"ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।" এই ঘোষণায় শুধু কূটনৈতিক অভিপ্রায় নয়, বরং ভবিষ্যতের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার এক কৌশলী পদক্ষেপও লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে এমন এক সময়, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে বলে পশ্চিমাদের আশঙ্কা, আর ইসরায়েল মনে করছে, এটা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।

জি-৭–এর এই যৌথ বিবৃতিতে অংশ নিয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—যারা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট হিসেবেই পরিচিত। তারা তাদের বিবৃতিতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত হতে দেওয়া হবে না, এবং এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা উভয় পক্ষকে আহ্বান জানাই—অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমন করুন। যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।” নেতারা এটিও স্পষ্ট করেছেন যে, কেবল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি দেশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিবৃতি ইসরায়েলকে পরোক্ষ সমর্থন দেওয়ার মতো হলেও, একই সঙ্গে এটি একটি ‘ডিপ্লোমেটিক ব্যালান্স’ তৈরি করার চেষ্টাও। কারণ, এতে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে—কোনো পক্ষকে একতরফাভাবে দায়ী না করে।

বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর এই বার্তাকে কেউ কেউ মনে করছেন কূটনৈতিক ‘গানশিপ ডিপ্লোমেসি’। মানে—বলে দেওয়া, কিন্তু প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। এতে ইরানের ওপর চাপ বাড়বে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় জোট নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করলো।

“আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্র ছড়িয়ে পড়া যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।

ইরান বরাবরের মতোই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে—শুধু বিদ্যুৎ ও গবেষণার জন্য। তবে গোপনে বোমা তৈরির সম্ভাবনার অভিযোগ বহুদিন ধরে চলছে। এই অবস্থায় জি-৭ এর বিবৃতি হয়তো ইরানকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে—তবে ইতিহাস বলছে, চাপ যত বাড়ে, তেহরানের প্রতিরোধও ততই শক্ত হয়।

এই বিবৃতি নিছক এক কাগজে লেখা কিছু শব্দ নয়—এটি একটি বার্তা, একটি দিকনির্দেশনা, এবং সম্ভবত একটি যুদ্ধ রোধের শেষ সীমানা। ইরান কী পথে হাঁটবে—আলোচনার না সংঘর্ষের, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Aucun commentaire trouvé