উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জরুরি সহায়তার জন্য বার্ণ ইউনিটে চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর ০১৯৪৯০৪৩৬৯৭। আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসায় নেয়া হচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ।
রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে এবং আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে দগ্ধ হওয়ায় জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে একটি ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু করা হয়েছে।
হটলাইন নম্বর: ০১৯৪৯০৪৩৬৯৭
এ নম্বরে কল করে জরুরি তথ্য বা সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পর পরই আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার আকাশে উড্ডয়ন করে। তবে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। বিকট শব্দের পাশাপাশি ঘটনাস্থলের বহু দূর থেকে দেখা যায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দুর্ঘটনার ছবি ও ভিডিও।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেয় বিমান বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জরুরি মেডিকেল টিম।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানান, “ঘটনার পর বেশ কয়েকজন আহতকে আমাদের ইউনিটে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে যেন আহতদের স্বজনরা দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেন।”
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাহিনী।
এই দুর্ঘটনা দেশের সামরিক নিরাপত্তা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণ, কারিগরি ত্রুটি নাকি অন্য কোনো বিষয়—তা নির্ধারণে তদন্ত চলছে।
ঘটনাটি জাতীয়ভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরাও চাইছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হোক।