রোববার (৩০ মার্চ) ইয়েমেনে উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। শনিবার রমজানের ২৯তম দিন শেষে চাঁদ দেখা যাওয়ায় পরদিন ১ শাওয়াল ঘোষণা করা হয়। ঈদের আনন্দে মেতে উঠলেও উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলায় মুহূর্তেই বিষাদ নেমে আসে।
বোমা হামলার পর কাহজা এলাকা পরিদর্শন করেন ইয়েমেনি কর্মকর্তারা। তারা আবাসিক এলাকায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে মার্কিন দেউলিয়াত্ব, বিভ্রান্তি ও ব্যর্থতার প্রতীক বলে অভিহিত করেছেন।
ইয়েমেনি কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ধরনের হামলা ইয়েমেনের জনগণের মনোবল ভাঙতে পারবে না, বরং ফিলিস্তিনসহ নিপীড়িত জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন আরও দৃঢ় করবে।
ইসরায়েলে হুথিদের পাল্টা হামলা
ঈদের দিন রাজধানী সানার কাছে আরও এক মার্কিন হামলায় একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন।
এর আগে, গাজার ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে হামলার পর লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। একইসঙ্গে ইসরায়েলের ভূখণ্ডেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তারা। এর জবাবে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনজুড়ে হামলা আরও জোরদার করে, যার ফলে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এই হামলার নিন্দা জানানো হচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক মহলে একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। হুথি গোষ্ঠীও জানিয়েছে, তারা মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তবে এখনো কোনো কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি তারা।