close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ঈদের আগে তরল ও গুঁড়া দুধের দাম বাড়ল, বাজারে বেড়েছে মুরগি ও মাংসের দাম..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঈদের আগমুহূর্তে তরল ও গুঁড়া দুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মিল্ক ভিটা এক লিটার দুধের দাম ১০ টাকা বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে মুরগি ও গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। অপরদিকে, ঈদের বিশেষ কিছু খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলে..

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে তরল ও গুঁড়া দুধ, মুরগি, এবং গরুর মাংসের দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। তবে সেমাই, নুডলস, ও পোলাওয়ের চালের মতো ঈদের দিনের বিশেষ কিছু পণ্যের দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে।

দুধের বাজারে দাম বৃদ্ধি

মিল্ক ভিটার তরল দুধের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ ২১ মার্চ রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) তরল দুধের দাম বাড়িয়ে এক লিটার প্যাকেটের দুধ ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা এবং আধা লিটারের দাম ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা করেছে। অন্যদিকে, বাজারে গুঁড়া দুধের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮৬০ টাকা, ফ্রেশ ৮১০-৮২০ টাকা এবং স্টারশিপ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি, দুই মাস আগে গুঁড়া দুধের দাম খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকার মতো বেড়েছিল। কোম্পানিগুলো রোজার সময় দাম না বাড়ালেও বর্তমানে বাজারে কিছু দোকান মালিক বাড়তি দামে গুঁড়া দুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।

বাজারে মুরগি ও মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী

ঈদের আগে মুরগির দামেও বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় উঠেছে।

এদিকে, গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। রাজধানীতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ঈদ বিশেষ পণ্যের দাম স্থিতিশীল

সেমাই, নুডলস, ও পোলাওয়ের চালের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই ৪৫ টাকা, সাধারণ লম্বা সেমাই ৪০-৪৫ টাকা, এবং পোলাওয়ের চাল ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে চালের দাম এখনো আগের উচ্চ মূল্যে রয়ে গেছে।

সবজির বাজারেও চড়া দাম

বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম এখনো চড়া। বেগুনের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, এবং প্রতি হালি লেবুর দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকা। সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, রোজার শুরু থেকেই এসব পণ্যের দাম বেশি ছিল, যা এখনো কমেনি।

রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিয়ে আমরা স্বস্তিতে ছিলাম, তবে চাল, লেবু ও শসার চড়া দাম আমাদের কষ্টে রেখেছে। আর এখন ঈদের আগে মুরগির দামও বাড়ল।’

উপসংহার: ঈদের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বাড়লেও বিশেষ কিছু ঈদ-সংক্রান্ত খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সাধারণ ভোক্তাদের দাবি, কর্তৃপক্ষের উচিত বাজারে নজরদারি বাড়ানো, যাতে দুধ, মাংস ও সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

 

Комментариев нет