close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ নিয়ে আজহারির প্রশংসা: "এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ
পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণা প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে। জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, "পর্যায়ক্রমে সকল ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।" তাঁর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যে লক্ষাধিক মানুষের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা
এর আগে, একই দিনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক এক ঘোষণায় জানান যে, দেশের সব ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, “ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ শুধু ধর্মীয় শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নয়, বরং একটি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।”
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও গুরুত্ব
এই ঘোষণায় ধর্মীয় শিক্ষা ও ইসলামী সংস্কৃতির উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অনেকেই মনে করেন, জাতীয়করণের এই উদ্যোগ ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায়ও দক্ষ করে তুলবে।
ড. আজহারি তাঁর পোস্টে আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, "জাতীয়করণের মাধ্যমে শুধু মাদরাসাগুলো নয়, বরং পুরো সমাজ উপকৃত হবে।" তাঁর মতে, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা প্রজন্মকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষায় গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
আজহারির পোস্টের নিচে অনেক মানুষ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, "ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হলে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি পাবে।" আরেকজন লিখেছেন, "এই ধরনের সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।"
শেষ কথা
ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের উদ্যোগ ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে। সময়ের চাহিদা মেনে এমন উদ্যোগ শুধু শিক্ষার মান উন্নয়নই নয়, বরং দেশের সামাজিক কাঠামোকেও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন শুধু অপেক্ষা এই উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের।
No comments found



















