close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইবিতে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রকে মারধরের অভিযোগে বিচার দাবি..

Mahfujul Haque Piyas avatar   
Mahfujul Haque Piyas
****

ইবি প্রতিনিধি: 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।  
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)  রাত এগারোটার দিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী জিবলু মেসে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান রাজু ও ভুক্তভোগী  আইন বিভাগের ২০২৪-২৫ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
 
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে প্রক্টর অফিসে অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী সাইফুল।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় পার্শ্ববর্তী জিবলু মেসে আল কুরআন বিভাগের মাহমুদ হাসান ভুক্তভোগী সাইফুলকে তার রুমে ডাকে। এতে ৫ মিনিট দেরি করে তার রুমে যাওয়ায়  দরজা আটকে দেয়। এছাড়া সাইফুলের উপর চড়াও হয়ে সজোরে ২টা চড় মারে এবং মারার জন্য স্টাম্প খোঁজ করে। পরে অভিযুক্তের রুমমেট (রিফাত) তাকে থামিয়ে দেয়। রুম থেকে বের হওয়ার সময় মাহমুদ ভুক্তভোগীকে বলেন, "পরবর্তীতে যখনই ডাকবো তখনই আসবি "। 

ভুক্তভোগী সাইফুল জানান, চড়টা জোরে হওয়ার কারণে ব্যাথায় সারারাত আমি ঘুমাতে পারি নি। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে শারীরিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাহমুদ বলেন, 
সাইফুল জুনিয়রদের সাথে বাজে বিহেভ করে। মেসের কোনো নিয়মই মানে না। এছাড়া রুমে বসে ফোনে মেয়েদের সাথে জোরে কথা বলে। গতকাল রাত্রে তাকে এ কাজগুলো যেন না করে তার জন্য রুমমেট দুজনে মিলে তাকে ডাক দিলাম। ডাক দেওয়ার প্রায় ১০-১৫ মিনিট পরে আসে। তখন ওর সাথে একটু কঠোর স্বরে কথা বলছি। এতটুকুই, হয়তো একটু কষ্ট পাইছে। 
মারামারির কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। সবচাইতে ভালো হয় যদি মেসে আসেন, মেসে আসলে সত্যটা জানতে পারবেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আজ উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানের জন্য সিকিউরিটি সেল বসবে। ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অভিযোগপত্র অফিসিয়াললি আগামীকাল হাতে পাবো। 

No comments found


News Card Generator