close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই স রা ই লের আ গ্রাসন ব ন্ধ হওয়া পর্যন্ত ই রা ন আ ত্মরক্ষা অব্যাহত রাখবে: ই রা নি রা ষ্ট্রদূত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরাইলের লাগাতার হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। জাতিসংঘের মুখোমুখি হয়ে ইরানি রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট জানালেন— যুদ্ধ বন্ধ না হলে পাল্টা জবাব চলতেই থাকবে।....

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে চরম উত্তেজনা। মধ্যপ্রাচ্য যখন উত্তাল, তখন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ ইরাভানি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন— ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান আর চুপ করে থাকবে না। ইসরাইল যে ধ্বংসাত্মক হামলা চালাচ্ছে, তা যতদিন বন্ধ না হবে, ততদিন আত্মরক্ষামূলক পাল্টা হামলা চালিয়েই যাবে তেহরান।

গত শুক্রবার, ১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে টার্গেট করে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি নিহত ও আহত হয়েছে বহু মানুষ। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক সরাসরি বৈঠকে সাঈদ ইরাভানি বলেন, “আমরা আশা করি, আপনি এবং নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদের আওতায় তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এখন পর্যন্ত যে ভূমিকা রাখা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও পক্ষপাতদুষ্ট মনে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ জাতিসংঘ ব্যর্থ, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে। এটা কোনো আক্রমণ নয়, বরং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ন্যায্য লড়াই।

ইরানি রাষ্ট্রদূত আরও অভিযোগ করেন, “ইসরাইলের এই হামলা সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৪৮৭ নম্বর প্রস্তাবের সুস্পষ্ট উল্লঙ্ঘন। সেই প্রস্তাবেই বলা হয়েছে, এ ধরনের আগ্রাসন দমন করতে হবে। তাহলে আজ কেন নীরবতা?

তিনি আহ্বান জানান, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত— ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হামলায় শুধু দুই দেশের সেনা নয়, আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। বিমান হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ড্রোন হামলায় বহু অসহায় মানুষ আহত কিংবা নিহত হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য একটি অনিয়ন্ত্রিত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। এর প্রভাব শুধু তেহরান-তেলআবিবে সীমাবদ্ধ থাকবে না— ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বমঞ্চে।

ইরানের অভিযোগ, মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এখন পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে কোনো কার্যকর বা অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে পারেননি। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর আস্থা হারাচ্ছে তেহরানসহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র।

জাতিসংঘের ব্যর্থতায় যখন মানবতা বিপন্ন, তখন ইরান স্পষ্ট করে বলছে— শান্তি চাই, কিন্তু আত্মবিনাশ নয়। আত্মরক্ষা এখন অধিকার নয়, বরং দায়িত্ব।
আর এই ঘোষণা থেকেই বিশ্ব দেখছে এক নতুন বাস্তবতা— মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব এখন আর শুধু কূটনীতির হাতে নেই, রয়েছে আগুনের জবাবে আগুনের হুমকিতেও।

لم يتم العثور على تعليقات