close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই স রা ই ল যু দ্ধ বিরতিতে রাজি হলেও যু ক্ত রা ষ্ট্রে র সামনে আরও চ্যালেঞ্জ থাকবে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও ইরান, কিন্তু ট্রাম্পের আসল লড়াই এখন শুরু—ইরানের গোপন পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে শঙ্কা।..

ইসরাইল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে নতুন এক কূটনৈতিক মোড় নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে ইরানও, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। যদিও এ ঘোষণার বাস্তবতা নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি জটিল এর পরবর্তী অধ্যায়। ট্রাম্পের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ থেকে সরিয়ে রাখা। হোয়াইট হাউস দাবি করছে—ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

এখানে মূল প্রশ্ন উঠে আসছে—ইরান কি যুদ্ধের আগে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক উপাদানগুলো সরিয়ে নিয়েছিল? তাদের কি এমন কোনো গোপন কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলো মার্কিন হামলার বাইরে থেকে গেছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

এ মুহূর্তে মার্কিন প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হতে হবে—ইরানের সঙ্গে একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক চুক্তি সম্পাদন করা, যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় ধ্বংস নিশ্চিত করবে।

এই প্রেক্ষাপটে মনে রাখতে হবে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটিকে বাতিল করেন, যুক্তি দেন—চুক্তিটি ত্রুটিপূর্ণ এবং ইরানকে সত্যিকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ।

সেই বাতিল হওয়া চুক্তির পুনরাবৃত্তি এড়াতে নতুন কৌশলের প্রয়োজন হবে। তবে যে কোনও ধরণের চুক্তির বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। ২০১৫ সালের চুক্তি কার্যকর করতে লেগেছিল দুই বছরেরও বেশি সময়।

পরিস্থিতির এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক চাপ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনার মাঝে যুক্তরাষ্ট্রকে এখন খুব হিসেব করে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির এই সময়কালে ইরানের অভ্যন্তরে গোপন পারমাণবিক কার্যক্রম আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অতীতেও ইরান অনেকবার পর্যবেক্ষকদের প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ বাড়িয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে, কিন্তু ট্রাম্পের সামনে এখন শুরু হলো প্রকৃত কূটনৈতিক যুদ্ধ। শুধু অস্ত্র দিয়ে নয়, এখন কথার যুদ্ধ, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ কৌশলের লড়াই। ইরান সত্যিই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত করছে কি না, তা জানতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কঠোর পর্যবেক্ষণ এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি।

לא נמצאו הערות


News Card Generator