close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ই স রা য়ে লে র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষে প ণা স্ত্র হা ম লা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে। ইসরায়েল বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো হয়েছে, তবে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।..

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইয়েমেনভিত্তিক হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ’ সরাসরি ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারা একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত করেছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটিয়েছে।

হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট। বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে আগে থেকেই বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায়, বিমানবন্দর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

তার দাবি, "এই হামলা সফল হয়েছে এবং আমরা আগামীতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছি।"


 

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য ইসরায়েলের আকাশে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার সময় পশ্চিম তীর, জেরুজালেম সংলগ্ন এলাকা ও রাজধানী তেল আবিবে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে এবং মোবাইল ফোনে সতর্কবার্তা পাঠানো হয় সাধারণ জনগণকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য।

ইসরায়েলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে হুতিদের পক্ষ থেকে হামলার দাবি এবং তাদের ‘নিষেধাজ্ঞা’ অমান্য করার অভিযোগ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে চলমান আঞ্চলিক সংকটে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ৪০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।

এই ধারাবাহিক হামলার জবাবে ইসরায়েলও চুপ করে থাকেনি। গতকাল তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের পাল্টা-পাল্টি হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। হুতিদের মতো গোষ্ঠীগুলোর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হানার ক্ষমতা থাকা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলকে।

ইসরায়েল, গাজা, লেবানন ও ইয়েমেন – চারটি ফ্রন্টে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়ায় এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত ভারসাম্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

Nema komentara