close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ই রান কে কখনোই পা রমা ণবি ক অ স্ত্র তৈরি করতে দেবে না যু ক্তরা জ্য-যুক্ত রাষ্ট্র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক উত্তেজনার মাঝে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ঘোষণা দিয়েছে—তারা ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেবে না। লন্ডনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের ..

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবারও সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। ইরান যেন কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে না পারে—এ মর্মে শক্ত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার লন্ডনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠক শেষে দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, “ইরানকে কোনো অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের সুযোগ দেওয়া হবে না।”
এই বিষয়ে দুই দেশ ‘পূর্ণ সমঝোতা ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে’ রয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি বর্তমানে এক চরম সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। পরমাণু ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পাওয়া এখন সময়ের দাবি। আমরা কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছি এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এর একটি সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে মার্কো রুবিওর মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

আমাদের মূল লক্ষ্য—ইরান যেন কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী না হতে পারে। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে, হোয়াইট হাউজ জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধে নতুন জোটবদ্ধ কৌশলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করা যায় না, বিশেষত যদি ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।

অন্যদিকে, ইরানও তার অবস্থান থেকে একচুল সরছে না। তেহরান বরাবরই দাবি করে এসেছে—তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, যেমন চিকিৎসা ও জ্বালানির জন্য। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব এই দাবিকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখে আসছে।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাও (IAEA) সম্প্রতি জানিয়েছে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ মাত্রা উদ্বেগজনক হারে এগোচ্ছে। ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহারযোগ্য—এবং ইরান ইতোমধ্যেই সেই সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি এখন এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে কূটনীতি আর শক্তিমানের সমন্বয়েই সংকটের সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতির চাকা কত দ্রুত ঘুরবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কেন্দ্রে থাকা ইরানের পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এমন কঠোর অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনার ঝুঁকি তৈরি করেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে যদি কূটনৈতিক সমাধান না আসে, তাহলে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, যার প্রভাব পুরো অঞ্চলে পড়তে পারে।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator