close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র দিকে ধেয়ে যা চ্ছে যু ক্ত রা ষ্ট্রে র পা র মা ণ বিক বৃহত্তর র ণত রী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে ভয়ঙ্কর উত্তেজনার মাঝে ইরানের উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মার্কিন পারমাণবিক রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা যুদ্ধের সরাসরি সংকেতও হতে পারে।..

মধ্যপ্রাচ্য যেন নতুন করে পরিণত হচ্ছে এক উত্তপ্ত যুদ্ধাঞ্চলে। ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের পটভূমিতে এবার সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী মোতায়েন করছে ইরানের উপকূল ঘেঁষা অঞ্চলে। এই পদক্ষেপকে যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজগুলোর একটি এই রণতরী, যার মূল্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১,১০০ ফুট দীর্ঘ এই পরমাণু চালিত বিমানবাহী রণতরীটি একসঙ্গে শতাধিক যুদ্ধবিমান বহন ও পরিচালনা করতে সক্ষম। মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, এটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে মোতায়েন করা হবে।

এই রণতরী যুক্ত হলে এটি হবে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন তৃতীয় মার্কিন রণতরী। এর আগে ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’ পারস্য উপসাগরে অবস্থান নিয়েছে এবং সম্প্রতি ‘ইউএসএস নিমিৎজ’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরান সীমান্তে তার শক্তি প্রদর্শন করছে।

প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জ্যাকারি কোহেন জানিয়েছেন, মূলত গত বছর থেকেই ‘জেরাল্ড ফোর্ড’ রণতরীটি ভূমধ্যসাগরে মোতায়েনের পরিকল্পনায় ছিল। তবে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে এই রণতরীকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঘোরানো হয়েছে। এটি শুধু একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে — এমনটাই ধারণা করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

ইরান সরকার এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে তাদের সামরিক বাহিনী কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। তেহরান থেকে ঘন ঘন সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে বন্দর আব্বাস এবং হরমুজ প্রণালির এলাকায় ইরান তার নৌবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখেছে।

এদিকে, বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটি থেকেও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ সম্প্রতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধুই নিরাপত্তা কৌশল নয়, বরং ইরানকে ঘিরে একটি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় আসন্ন — এই সংকেতই দিচ্ছে।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কেউই এখনো যুদ্ধ শব্দটি উচ্চারণ না করলেও, বাস্তবতা বলছে অন্যকিছু। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেকোনো একটি ভুল পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক মহাযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক রণতরী ‘জেরাল্ড ফোর্ড’ এখন কেবল এক সামরিক যান নয় — এটি মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঝুলে থাকা এক আশঙ্কার নাম। ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যদি দ্রুত কমানো না যায়, তবে এই অঞ্চলের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে আরও ভয়ানক পরিণতি।

कोई टिप्पणी नहीं मिली