close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে র ব্যা লি স্টি ক ক্ষে'প'ণা'স্ত্র মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিটেই ই স রা য়ে লে পৌঁ ছাতে পারে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলে হামলার জবাবে ইরান নিক্ষেপ করেছে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র—যার অনেকগুলো পৌঁছেছে মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিটে। ইরানের হাতে আছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও গতিশীল ব্যালিস্টিক অস্ত্রভাণ্ডার। এই খবর শুনেই..

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। এবার সরাসরি আঘাত হানলো তেহরান। ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিটেই আঘাত হেনেছে ইরানের শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিশানায় পরিণত হলে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিস্ফোরক জবাব দিয়েছে ইরান। তেহরানের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই মধ্যমপাল্লার, যেগুলো ইসরায়েলের তেলআবিব, হাইফা, আশদোদের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে আঘাত হানে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা জানান, ইরানের বর্তমানে ৩,০০০-এরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলোর গতিসীমা এতটাই উচ্চ যে, মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিটে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম। এই কারণে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিমশিম খাচ্ছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান গত তিন দশকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে এক জটিল, শক্তিশালী ও কার্যকর সামরিক শক্তিতে পরিণত করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র শুধু ভূমি থেকে নয়, স্থল ও আকাশপথেও উৎক্ষেপণযোগ্য, ফলে থ্রিডাইমেনশনাল প্রতিরক্ষা কৌশল কার্যত অচল হয়ে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে ‘ফাত্তাহ-১’ সিরিজের হাইপারসনিক মিসাইল, যার গতি ম্যাক ১৫—অর্থাৎ শব্দের গতির ১৫ গুণ। এই মিসাইল ইসরায়েলে মাত্র ৮ মিনিটেই আঘাত হানতে পারে। এমনকি একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান সংঘর্ষে ইরান এই হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহারেরও ইঙ্গিত দিয়েছে।

তবে কৌশলগতভাবে ইরান বেশি ব্যবহার করছে প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। কারণ এগুলোর মজুত প্রচুর, উৎপাদন খরচ কম এবং কম সময়ে আঘাত হানার সক্ষমতা যথেষ্ট। এর ফলে, সংঘর্ষ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ইসরায়েল তত দুর্বল হয়ে পড়ছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, দেশটির আয়রন ডোম সিস্টেম (Iron Dome) দিয়ে অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই প্রতিহত করা হয়েছে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আঘাত ঠেকানো যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক, আহত ও নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত সমীকরণ পাল্টে দিচ্ছে। ইসরায়েল যেখানে পরমাণু অস্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে সবসময় আক্রমণাত্মক থেকেছে, এবার তাদের বিপরীত দিক থেকে এসেছে দ্রুতগামী ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া—যা তেলআবিবসহ গোটা ইসরায়েলকে গভীর নিরাপত্তা সংকটে ফেলেছে।

ইরান যে কেবল কথার লড়াই না, বরং বাস্তব যুদ্ধের জন্যও সম্পূর্ণ প্রস্তুত—তা প্রমাণ করলো এই আক্রমণ। এখন প্রশ্ন হলো, ইসরায়েল কী পারবে এই ব্যালিস্টিক দানবের মুখোমুখি হতে? নাকি এই সংঘাত আরো বড় কিছু নিয়ে আসছে বিশ্ব রাজনীতিতে?

Inga kommentarer hittades