close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে যু ক্ত রা ষ্ট্রে র হা ম লা, জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালালে জরুরি বৈঠকে বসে আইএইএ। তেহরানের দাবি— তদন্ত ও যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করুক জাতিসংঘ।..

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর, বিশ্বের পারমাণবিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ চরমে উঠেছে। এই সংকটময় প্রেক্ষাপটে সোমবার এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ (IAEA)। জাতিসংঘের এই সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ইরানের বর্তমান "জরুরি পরিস্থিতি" বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।

এর আগে রবিবার সকালে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন বাহিনী হামলা চালায় বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু সক্ষমতা হ্রাস করা এবং ভবিষ্যতের হুমকি রোধ করা।”

আইএইএ জানায়, হামলার পরপরই তারা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপ করেছে। সংস্থাটি নিশ্চিত করে যে, এখন পর্যন্ত আশেপাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার কোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে তারা এও জানায়, ভবিষ্যতে আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে ইরানের পারমাণবিক সংস্থা এই ঘটনাকে ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলাম আইএইএর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করুক এবং মার্কিন আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাক।

ইরানের গণমাধ্যমেও হামলার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেনি। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে কী প্রভাব ফেলবে— তা নিয়ে এখনো অজানা সংশয় বিরাজ করছে।

বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীন, রাশিয়া, ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাশিয়া সরাসরি বলেছে, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং তা বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এমনিতেই উত্তেজনার পারদ চড়া। এই হামলা শুধু ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আইএইএর জরুরি বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা আগামীর কূটনৈতিক পথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Tidak ada komentar yang ditemukan