close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে যু ক্ত রা ষ্ট্রে র হা ম লা, ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানে মার্কিন হামলায় পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত—গভীর উদ্বেগ সৌদির। রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান। ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে অভিযান পরিচালনা করেন।..

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের সরাসরি হামলায় দেশটির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর দেশ সৌদি আরব

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়,ইরানের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু হওয়া আমাদের গভীর উদ্বেগের কারণ। এই উত্তেজনা শুধু আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।

বিবৃতিতে সৌদি সরকার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বর্তমানে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য রাজনৈতিক সমাধানই একমাত্র পথ। সংঘাতের বদলে সংলাপে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে—এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং একে একে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছিলেন হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে

হোয়াইট হাউস জানায়,হামলার সময় সিচুয়েশন রুমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা সচিব, সেনা প্রধান এবং নিরাপত্তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সবাই মিলে রিয়েল টাইমে পুরো অভিযান পর্যবেক্ষণ করেন।

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় নেতারা কেমনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন—তাদের চিন্তিত মুখাবয়ব এবং গভীর মনোযোগে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন,আপনাদের সামনে এখন দুটি রাস্তা—একটি শান্তির, অন্যটি সর্বনাশের। আপনারা কোনটি বেছে নেবেন সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে জেনে রাখুন, পরবর্তী সংঘাত আগের দশ দিনের ঘটনাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা শুধু সামরিক নয়, বরং কৌশলগত ও বার্তাবাহী—বিশেষ করে ইরান ও তার মিত্রদের উদ্দেশ্যে। পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এই প্রত্যক্ষ আঘাত গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে

এই মুহূর্তে পুরো বিশ্বজুড়েই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন—এই হামলার প্রতিশোধ নিতে পারে ইরান, যার ফলে সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন কিংবা ইরাকেও নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশই তাই এখন তীব্র সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও ধারণা করা হচ্ছে—তারা শিগগিরই শান্তিপূর্ণ আলোচনার উদ্যোগ নিতে পারে

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের এই সামরিক সংঘর্ষের মাধ্যমে পারমাণবিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সৌদি আরবের প্রকাশিত উদ্বেগ প্রমাণ করে—এই সংকট শুধু দুই দেশের নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে পরবর্তী কয়েক দিনের কূটনৈতিক নাটক। আর সেই নাটকে বড় ভূমিকায় থাকবে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান—তাদের কূটনৈতিক বোঝাপড়াই নির্ধারণ করবে, যুদ্ধ হবে নাকি শান্তি।

コメントがありません