close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা নে আবারও হা মলা র হু ম কি দিলেন ট্রাম্প

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ইরানের আগ্রহ দেখলেই ফের হামলার হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প। বললেন, “বোমা বানাতে পারবে না। যুদ্ধ শেষ হয়েছে— আবার শুরু হলে দায় ইরানের।”..

সম্প্রতি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আবারও আগ্রাসী ভঙ্গিতে সরব হন তিনি। প্রশ্ন ছিল: যদি ইরান পুনরায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে, তাহলে কি আমেরিকা আরও হামলা চালাবে? এর জবাবে ট্রাম্প দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, “অবশ্যই।”

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো— তারা (ইরান) এখনো যেকোনো কিছু সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তারা তাদের কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করতে চায়। তবে আমরা তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি— বোমা বানানোর সুযোগ নেই। তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধও করতে পারবে না।

বিশ্ব রাজনীতির আলোচিত এই নেতা সম্প্রতি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেন। তিনি এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিতে জাপানে আমেরিকার পারমাণবিক হামলার সঙ্গে তুলনা করেন।

ট্রাম্প বলেন, “আমি হিরোশিমার উদাহরণ ব্যবহার করতে চাই না, নাগাসাকিও বলবো না— তবে বাস্তবতা একটাই: সেই বোমাগুলো যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। এবারও আমরা যে আঘাত হেনেছি, তাতেই যুদ্ধ থেমে গেছে। যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো।”

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ আক্রমণের ইঙ্গিত বহন করছে।
এছাড়া, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের অসাধারণ জয় হয়েছে। এটি একটি নিখুঁত হামলা ছিল। আমরা জানতাম, কখন এবং কোথায় আঘাত করতে হবে।”

ইসরায়েলের ওপর সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেষ কয়েকদিনে ইসরায়েল সত্যিই কঠোর আঘাত পেয়েছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে। তবে আমাদের পাল্টা প্রতিরোধ তাদের (ইরান) পিছু হটতে বাধ্য করেছে।”

তবে ট্রাম্পের এই অবস্থান একেবারে যুদ্ধোন্মুখ না, সেটিও তিনি স্পষ্ট করে দেন। বলেন, “আমি মনে করি, ইরানের সঙ্গে ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও সম্পর্ক থাকবে। তবে সেটা নির্ভর করছে তাদের বর্তমান আচরণের ওপর।"

শেষে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, এই যুদ্ধবিরতি ছিল ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে অত্যন্ত সমানুপাতিক একটি সম্মতির ভিত্তিতে। দুই পক্ষই বলেছে— যথেষ্ট হয়েছে।

ট্রাম্পের এই বক্তব্য ও সাম্প্রতিক হামলার পটভূমি বিশ্লেষণে বোঝা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে এই সংঘাত আরও বিস্তৃত হবে, না শান্তিপূর্ণভাবে নিরসন হবে।

Keine Kommentare gefunden