close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ই রা ন-ই স রা য়ে ল যু দ্ধবিরতি,ট্রা ম্প কে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামিয়ে মধ্যস্থতা করেন ট্রাম্প। এবার তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিলেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য।..

মধ্যপ্রাচ্যে যখন রক্তের স্রোত বইছে, যখন একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মতো পড়ছে—ঠিক তখনই এক নাটকীয় মোড় নেয় ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। আর সেই মোড় ঘোরানোর পেছনে রয়েছে একজন নাম—ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এবার এক বিশাল কূটনৈতিক সাফল্য এনে দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে। তাঁর মধ্যস্থতায় অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। এই অসাধারণ ভূমিকায় ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্য আর্ল বাডি কার্টার।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত ইতোমধ্যেই প্রবল আকার ধারণ করেছিল। টানা ১২ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলছিল তীব্র হামলা-পাল্টা হামলা। এতে নিহত হয় শত শত মানুষ, ধ্বংস হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি ও সামরিক স্থাপনা। আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে—এই যুদ্ধ যদি পূর্ণাঙ্গ আকারে বিস্তৃত হয়, তবে তা বিশ্বশান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এমন সময়েই দৃশ্যপটে আসেন ট্রাম্প। তিনি একের পর এক হাই-লেভেল বৈঠক, কূটনৈতিক বার্তা ও হুমকি-ধমকির মাধ্যমে দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনতে সক্ষম হন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ঘোষণার পরই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তেহরান ও তেলআভিভ।

নরওয়ের নোবেল কমিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে কংগ্রেসম্যান বাডি কার্টার বলেন,পশ্চিম জেরুজালেম ও তেহরানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল অসাধারণ ও ঐতিহাসিক। এমন সাহসী নেতৃত্বই আজকের বিশ্বে প্রয়োজন।

এই মনোনয়ন দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ট্রাম্প অতীতে একাধিকবার নোবেল পুরস্কারের জন্য নিজের নাম প্রস্তাব করেছিলেন, এবারই প্রথম কোনো সদস্য তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিলেন এমন ঐতিহাসিক ঘটনার ভিত্তিতে।

যুদ্ধবিরতির ঠিক আগ মুহূর্তেই যুক্তরাষ্ট্রের এক আকস্মিক পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তোলে। আমেরিকান ড্রোন ও স্টেলথ বিমান থেকে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয়—যার মধ্যে রয়েছে ফরদো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহানের মতো কেন্দ্রীয় সাইট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন,আমরা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছি।

এমন ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে, তবে শান্তি বজায় থাকে না বেশিক্ষণ।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইরান ও ইসরায়েল আবারও একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে দ্রুত ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারি দেন দুই দেশকে। তাঁর হুঁশিয়ারির পর পরই ইসরায়েল সামরিক তৎপরতা থেকে সরে আসে।

এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে বিশ্বজুড়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও চীন—সবাই ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেছে। বিশেষ করে যুদ্ধের আগে যেখানে ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছিল, সেখানে ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতা বহু প্রাণ বাঁচিয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই আলোচিত ও সমালোচিত একজন নেতা। তবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়। তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন কি না, তা সময়ই বলবে। তবে একথা স্পষ্ট—এই ঘটনায় তাঁর নেতৃত্ব বিশ্বমঞ্চে নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

Keine Kommentare gefunden