close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ই রা ন-ই স রা য়ে ল যু দ্ধ বিরতিতে রাজি, ঘোষণা দিলেন ট্রা ম্প!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, ইরান ও ইসরায়েল পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমার ইঙ্গিত। দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনও মেলেনি।..

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে ইরান ও ইসরায়েল এখন সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তার এই ঘোষণার সূত্র ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ। খবরটি প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হয়েছে। আমি আশাবাদী, এটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ এড়ানোর যে প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে, ট্রাম্পের এই ঘোষণাটি সেই প্রচেষ্টাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—দুই দেশের সরকারিভাবে এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে একটি “ব্রেকথ্রু” হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে সিরিয়া, গাজা, লেবানন সীমান্তজুড়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নানা ধরনের সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলার প্রেক্ষাপটে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণার তাৎপর্য অনেক বড়।

বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, এই ঘোষণা কেবল যুদ্ধবিরতিই নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি কূটনৈতিক আলোচনার দরজা খুলে দিতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ের পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। ফলে ঘোষণা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও কিছু পদক্ষেপ ও নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন।

বিশ্বরাজনীতিতে ট্রাম্পের প্রভাব থাকা অবস্থায় ইসরায়েলের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত আলোচিত। তবে ইরানের বিষয়ে তার অবস্থান ছিল বরাবরই কঠোর। এবার সেই ট্রাম্পের মুখেই যখন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে, তখন এটিকে শুধুই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখার সুযোগ নেই বলেও মত দেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

এই ঘোষণার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সাময়িক স্বস্তির আশাবাদ সৃষ্টি হলেও, এটি কতটা স্থায়ী হবে বা কত দ্রুত বাস্তব রূপ পাবে—তা এখন সময়ই বলে দেবে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি সত্যিই দুই দেশ এই যুদ্ধবিরতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করে, তাহলে এটি হবে একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য-সংক্রান্ত মাইলফলক।

এদিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও, কূটনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে যে—এর মাধ্যমে ইসরায়েল-ইরান সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে পারে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে নতুন করে নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে ইরান ও ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার দিকে। যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে যদি সত্যিই শান্তির দ্বার উন্মোচিত হয়, তাহলে এটি হবে এক যুগান্তকারী অধ্যায়।

Geen reacties gevonden