ই'স'রা'য়ে'লের রুদ্ধ নীতিতে কাঁ'প'ল কূটনৈতিক মঞ্চ: মুসলিম ছয় দেশের মন্ত্রীদের রামাল্লা সফর আটকে দিল তেলআবিব!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ছয়টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইসরায়েল তাদের পশ্চিম তীরে ঢুকতেই দিল না! দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে প্রতিহত করতেই এমন পদক্ষেপ—বিশ্..

ইসরায়েল এক বিস্ময়কর ও উত্তেজনাপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে—দখলকৃত পশ্চিম তীরে ছয়টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর নিষিদ্ধ করেছে তারা। আলজাজিরা ও একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এই খবর নিশ্চিত করেছে।

সফরটি হওয়ার কথা ছিল রামাল্লায়, যেখানে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা ছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, জর্ডান, কাতার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরালোভাবে এগিয়ে নেওয়া।

বিশ্ব রাজনীতির মোড় ঘোরানো এই মুহূর্তে, সৌদি আরব ও ফ্রান্স জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে, যেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

ইসরায়েলের একগুঁয়েমি ও প্রতিরোধ কৌশল

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা এসেছে—এই সফর কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। দেশটির সরকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে জানায়, এই উদ্যোগ সরাসরি ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে যায়। কারণ, তারা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে এবং এটি ঠেকাতে সক্রিয় কৌশল অনুসরণ করছে।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে বাড়ছে চাপ

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এমন সময়ে যখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সূচনা হয়েছে, তখন ইসরায়েল এমন এক কৌশল নিয়েছে যা স্থায়ী শান্তির পথে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই ঐতিহাসিক সফর আটকে দিয়ে ইসরায়েল একদিকে যেমন তার আগ্রাসী ও একতরফা নীতি বজায় রেখেছে, তেমনি অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্কোন্নয়নের পথেও একরকম তালা মেরে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসছে?

এই পদক্ষেপের পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য কূটনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের প্রতিরোধমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আরও জোরালো হতে পারে।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হলো—ইসরায়েল তার ভূখণ্ডীয় ও কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতেই বদ্ধপরিকর। আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে—even if it’s just a diplomatic visit—সেটিও তারা বন্ধ করতে পিছপা নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর যদি বাস্তবায়িত হতো, তবে সেটি হতে পারত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এক বড় পদক্ষেপ। কিন্তু ইসরায়েলের এই আচরণ প্রমাণ করে, এখনো অনেক পথ বাকি।

No comments found


News Card Generator