close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ই'স'রা'য়ে'ল'কে ‘লাল রেখা’ পেরিয়েছে ইরান! মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত যু'দ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়াকে ‘লাল রেখা’ অতিক্রম বলেই আখ্যা দিয়েছেন। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইরান ইসরায়েলের বেসামরিক এলাকায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছ..

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক টেলিভিশন বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ইরান ‘সীমা অতিক্রম’ করেছে। তার মতে, ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

তিনি বলেন, "আমরা ইসরায়েলের জনগণকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইরানের এই আগ্রাসন আমাদের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।"

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, গতকাল ইসরায়েল ইরানের ভেতরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলাগুলো ছিল পরিকল্পিত ও লক্ষ্যভিত্তিক। কিন্তু এর জবাবে ইরান যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা ছিল অতিরঞ্জিত এবং অসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপ।

এর আগে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (IRGC) জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানি সামরিক মুখপাত্র বলেছিলেন, “আমরা কেবল প্রতিরক্ষা করছি। আমাদের আঘাত ইসরায়েলের সামরিক শক্তিকে লক্ষ্য করে, সাধারণ নাগরিক নয়।”

তবে, ইসরায়েলের দাবি ভিন্ন। তারা বলছে, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক এলাকা, স্কুল, আবাসিক ভবন ও হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মিত্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উত্তেজনা যদি কূটনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি বড় পরিসরের যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে। এমনিতেই গাজা, সিরিয়া ও লেবাননের সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে, তার মধ্যে ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতে জড়ালে সমগ্র অঞ্চল জ্বলন্ত বারুদের স্তূপে পরিণত হতে পারে।

রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ইসরায়েল হয়তো সামরিক চাপে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির গতি রোধ করতে চায়, কিন্তু ইরান এই চ্যালেঞ্জকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে নিচ্ছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তবে স্পষ্টতই বলা যায়, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপানে—আরেকটি বিপর্যয়ের আশঙ্কায়।

Ingen kommentarer fundet