close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

হত্যাকাণ্ড চলছে থালাবাসনে! আমরা আসলে কি খাচ্ছি?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
এই খাদ্যদূষণ বন্ধে সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন! নাহলে, আমরা ধীরে ধীরে নিজেদেরই শেষ করে ফেলব!..

আমাদের প্রতিদিনের খাবার কি আসলেই নিরাপদ? নাকি আমরা বিষ খাচ্ছি, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি? সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত, প্রতিটি পদে পদে রয়েছে ভয়ংকর ভেজাল! দুধ থেকে শুরু করে সবজি, ফল-মূল, মসলা, মাংস—সবখানেই লুকিয়ে রয়েছে কেমিক্যাল আর মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান। এই খাদ্যদূষণ কি শুধুই অবহেলা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ? আসুন, এক নজরে দেখি, আমাদের প্রতিদিনের খাবারে কী কী বিষ মেশানো হচ্ছে!


সকালের শুরুতেই বিষাক্ততার স্পর্শ!

  • টুথপেস্ট: দাঁত পরিষ্কারের জন্য যে পেস্ট ব্যবহার করি, তার মধ্যেই রয়েছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক।

  • নাস্তা: সকালের পরোটার লবণে মিশানো থাকে অ্যামোনিয়া, যা কিডনি ও লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

  • ফল-মূল: কলা, আম, লিচু—যেগুলো আমরা স্বাস্থ্যকর মনে করি, সেগুলোকেই পাকানো হয় কার্বাইড দিয়ে, যা শরীরের জন্য বিষতুল্য।


বাজারে সতেজ সবজি, কিন্তু আসলে?

  • কাঁচা শাক-সবজিকে টাটকা দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয় কপার সালফেট, যা কিডনি ও লিভারকে ধ্বংস করে।

  • টমেটো, আলু, শসা, ক্যাপসিকাম—সবকিছুই হাইব্রিড সার ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে উৎপাদিত।

  • মসলা আর হলুদের গুঁড়ার মধ্যে লেড (সীসা) এবং ক্রোমাইট মিশানো থাকে, যা রক্তে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।


ফলের রঙ, নাকি মৃত্যুর ছাপ?

  • তরমুজ: গরমের দিনে প্রশান্তির প্রতীক তরমুজকে লাল করতে ব্যবহার করা হয় পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট

  • আম ও লিচু: এগুলো কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয় ফরমালিন, যা একপ্রকার শক্তিশালী বিষ।


দুপুরের খাবারেও রেহাই নেই!

  • ভাতকে বেশি সাদা দেখানোর জন্য ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়।

  • মুরগিকে দ্রুত বড় করার জন্য অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড খাওয়ানো হয়।

  • সয়াবিন তেল, যা রান্নার অন্যতম প্রধান উপাদান, সেটার মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয় পাম অয়েল, যা হার্টের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর।


মিষ্টিতেও মিশে আছে মৃত্যু!

  • জিলাপি, মিষ্টি ও অন্যান্য মিষ্টান্ন পোড়া মবিল দিয়ে ভাজা হয়, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

  • খেজুর, যা রোজার সময়ে জনপ্রিয়, সেটাকে বছরের পর বছর ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।

  • সরিষার তেল, যা একসময় স্বাস্থ্যকর মনে করা হতো, সেটাতে এখন ঝাঁঝালো কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে।


সারাদিনের শেষে রাতের খাবারও নিরাপদ নয়!

  • গরুর দুধ: গাভীর পিটুইটারি গ্রন্থিকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অতিরিক্ত দুধ উৎপাদন করানো হয়, যা মানুষের শরীরে হরমোনের মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

  • হরলিক্স ও অন্যান্য পুষ্টিকর পানীয়: পরীক্ষায় দেখা গেছে, এতে কোনো প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ নেই, বরং এতে মেশানো হয় ক্ষতিকর কেমিক্যাল


ঔষধেও মিশে আছে ভেজাল!

  • বাজারের ৭০% ঔষধ কোম্পানি মানসম্মত ঔষধ তৈরি করে না

  • সাধারণ ঠান্ডার ঔষধ থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিক—সবকিছুতেই নানা রকম ক্ষতিকর উপাদান থাকে।


আমরা কি সত্যিই বেঁচে আছি?

এই ভয়ংকর খাদ্যদূষণের যুগে বেঁচে থাকাটাই যেন অলৌকিক ব্যাপার! আমাদের শরীরে প্রতিদিন যে পরিমাণ বিষ প্রবেশ করছে, তাতে সুস্থ থাকা একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু এর সমাধান কী? আমরা কি এভাবেই বিষ খেয়ে বেঁচে থাকব, নাকি এই খাদ্যদূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হব?

Nema komentara