হঠাৎ উত্তাল রাজনীতি: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের গুঞ্জন ঘিরে নতুন মেরুকরণ!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনায় নেই। তবে এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি ও জামায়াত..

বাংলাদেশের রাজনীতি ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেয়নি। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। এই ঘোষণার পরপরই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীতে যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

বিএনপি ও জামায়াত:

দুই দলই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তারা সরকারের সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি):

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সরাসরি আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো আপস নয়।’ দলটির উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।

 

 

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিদেশি চাপ:

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। এই অবস্থান বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য চাপে পরিণত হয়েছে।

 

নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে দেশে সংঘাত আরও বাড়তে পারে। বিএনপি চায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচন, তবে এনসিপি চায় গণপরিষদ নির্বাচন।

 

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার হয়তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাচ্ছে যে, তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে না। তবে এই পরিস্থিতি দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মেরুকরণের জন্ম দিয়েছে, যা আগামী দিনে আরও বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Walang nakitang komento