close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

হঠাৎ পদত্যাগ! এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়লেন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়া..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় রাজনীতিতে নতুন চমক—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা রাফিদ এম ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত? রাজনীতির অন্দরমহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।..

রাফিদ এম ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দলের অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছু মতপার্থক্য দেখা দেয়। যদিও তিনি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি, তবে পদত্যাগের পেছনে ‘নৈতিক ও নীতিগত কারণ’ রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এনসিপি’র দপ্তর শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাফিদ ভাই অনেকটা চুপিসারেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা ভেবেছিলাম তিনি হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। কিন্তু শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর নিশ্চিত হওয়া গেল যে তিনি আর ফিরছেন না।”

দলের ভেতরে এখন আলোচনা চলছে—এই পদত্যাগ দলের ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব ফেলবে। অনেকেই মনে করছেন, এটি কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয় বরং এর পেছনে রাজনৈতিক অসন্তুষ্টি বা কৌশলগত কারণে নেওয়া পদক্ষেপও থাকতে পারে।

এ বিষয়ে রাফিদ এম ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কিছু বিবেচনা ও রাজনৈতিক অবস্থান পুনর্বিন্যাসের কারণে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দল এবং দেশের প্রতি আমার দায়িত্ববোধ আগের মতোই থাকবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপির মতো উদীয়মান দলগুলোর ভেতরে দলগত ঐক্য, দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে এমন একজন জ্যেষ্ঠ নেতার পদত্যাগ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন তারা।

এনসিপি’র পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, শিগগিরই রাফিদ এম ভূঁইয়ার স্থলাভিষিক্ত কেউ দায়িত্ব নিতে পারেন।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এ পদত্যাগ কি কেবল একক সিদ্ধান্ত, নাকি বৃহৎ কোনো রদবদলের ইঙ্গিত—তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে ততদিন পর্যন্ত এনসিপির অভ্যন্তরে চলমান আলোচনা এবং জনমনে তৈরি হওয়া কৌতূহলকে থামানো যাচ্ছে না।

לא נמצאו הערות