close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ই রা ন , দুটি তেলবাহী জা হাজের ই উ টার্ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে বড় সংকট সৃষ্টি করতে পারে; ইতোমধ্যে দুটি বিশাল তেলবাহী জাহাজ পথ পরিবর্তন করেছে।..

পারস্য উপসাগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত নোড, হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে এগোচ্ছে ইরান। সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছায়। এই উত্তেজনার প্রভাবে ইরানের পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এই প্রস্তাব অনুমোদনের পরপরই বড় বড় তেলবাহী জাহাজগুলো নিরাপত্তার কারণে হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে চলা শুরু করেছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ জানায়, দুটি বিশাল তেলবাহী জাহাজ, ‘কোসইউসডম লেক’ ও ‘সাউথ লয়্যালটি’, যাদের প্রতিটিরই ক্ষমতা প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বহন, হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে প্রণালী থেকে সরে গেছে। যদিও রবিবার তারা হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করেছিল, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে তারা পথ ছেড়ে গিয়েছে।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্টের অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত ইরানের হাতেই রয়েছে এবং ইচ্ছামত যেকোনো সময় তারা এটি কার্যকর করতে পারে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যারা এই প্রণালী দিয়ে তেল আমদানি করে তাদের মধ্যে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও চীনের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “চীন যেন এই বিষয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে।” কারণ চীন বিশাল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালী দিয়ে আমদানি করে, প্রণালী বন্ধ হলে চীনের অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় বড় ধাক্কা লাগবে। রুবিও আরও বলেন, “ইরানের জন্য এটি একটি ভয়ানক ভুল হবে, যা তাদের অর্থনীতির জন্য আত্মহত্যার সমান।”

বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক তেলের দাম তীব্রভাবে বাড়বে। বিশেষত, চীন, ভারত ও জাপানসহ বিভিন্ন বড় আমদানিকারক দেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর্থিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই সংকট বিশ্ব অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বজুড়ে সমুদ্র পথে বাণিজ্য ও তেলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়িত হয়, তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও শক্তি বাজারে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে।

তাই এখন সময় অত্যন্ত সংবেদনশীল, যেখানে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর চোখ এখন ইরানের দিকে, যেন তারা এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে পারে।

Walang nakitang komento