হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের গোড়াপত্তন : যে কোনো মূল্যে আকাবিরদের রেখে যাওয়া আমানত রক্ষা করতে হবে
১৯ জানুয়ারি ২০১০ঈ.। তৎকালীন হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর কক্ষে চট্টগ্রামের বড় বড় মাদরাসার মুহতামিম এবং চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কিরামদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
.
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. মুহতামিম হাটহাজারী মাদরাসা, আল্লামা আব্দুল হালিম বুখারী রহ. মুহতামিম জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া, আল্লামা সুলতান যওক নদভী রহ. মুহতামিম দারুল মারিফ আল ইসলামিয়া চট্টগ্রাম, আল্লামা শামসুল আলম রহ. মুহাদ্দিস হাটহাজারী মাদরাসা, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ. মুহাদ্দিস হাটহাজারী মাদরাসা, আল্লামা আব্দুল মালেক হালিম হাফি. মুহতামিম হাইলদর মাদরাসা, আল্লামা লোকমান হাকিম হাফি. মুহতামিম মুজাহের উলূম মাদরাসা, আল্লামা তাজুল ইসলাম হাফি. (বড় হুজুর) মুহতামিম ফিরোজ শাহ কলোনি প্রমুখ।
.
এ বৈঠকে বাঙ্গালি মুসলমানদের ঈমান-আকিদার সুরক্ষা ও ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় সকল উলামায়ে কেরামের সর্ব সম্মতিতে একটি সংগঠনের গোড়াপত্তন করা হয়। নাম নির্বাচন করা হয়—“হেফাজতে ইসলাম”। উপস্থিত উলামায়ে কিরামের সর্বসম্মতিতে আল্লামা আহমদ শফী রাহ. আমির, মুফতী আবদুর রহমান রাহ. সিনিয়র নায়েবে আমির, আল্লামা আবদুল হালীম বুখারী রাহ. নায়েবে আমির, আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহ. মহাসচিব ও আল্লামা আবদুল মালিক হালিম নির্বাহী মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ হেফাজতের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত থাকার সুযোগ ও সৌভাগ্য হয়েছে আমার। মুরুব্বিদের রেখে যাওয়া এই আমানত আমাদেরকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।