প্রথমে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ক্যাশিয়ার বাবুলের ছেলে এবং স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে একটি বাক-বিতণ্ডা হয়, যা পরে মারামারিতে রূপ নেয়। স্থানীয়রা প্রথমে তাদেরকে থামিয়ে দিলেও পরিস্থিতি পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাবুল তার ছেলে ও অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে নিউ মুসলিম কোয়ার্টারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং কিছু বাসাতে হামলা চালায়। এসময় স্থানীয়রা তাদের প্রতিহত করতে গেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আওয়াল এবং সদর মডেল থানার এসআই সুজনের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উত্তেজিত জনতা হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি সিএনজি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সেটি আটক করে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যারা এই সংঘর্ষের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এই ঘটনার ফলে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায় যে, এ ধরনের সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং স্থানীয় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে তারা স্থানীয় নেতাদের সাথে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতির উন্নয়নে স্থানীয় নেতা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় সামাজিক সমস্যার একটি প্রতিফলন, যা স্থানীয় শৃঙ্খলা এবং শান্তি রক্ষায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এই সমস্যা সমাধানে যৌথভাবে কাজ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘর্ষ আর না ঘটে।



















