close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

হাসপাতালে ভর্তির সময় তুষার আমার স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়েছে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Former NCP leader Neela Israfil has alleged that her husband’s name in hospital records was replaced without consent while she was admitted to Dhaka Medical. She called it forgery and a violation of h..

ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইস্রাফিলের স্বামীর নামের স্থানে অন্যের নাম বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি একে জালিয়াতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দাবি করে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা দাবি করেছেন।

বাংলা ও ইংরেজি একই SEO-Optimized Risk-Free Headline

বাংলা ও ইংরেজি:
"হাসপাতালের নথিতে স্বামীর নাম বদলানোর অভিযোগে সাবেক এনসিপি নেত্রীর ক্ষোভ"
"Former NCP Leader Alleges Husband's Name Replaced in Hospital Records"


Short Description (Bangla)

ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইস্রাফিলের স্বামীর নামের স্থানে অন্যের নাম বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি একে জালিয়াতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দাবি করে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা দাবি করেছেন।

Short Description (English)

Former NCP leader Neela Israfil has alleged that her husband’s name in hospital records was replaced without consent while she was admitted to Dhaka Medical. She called it forgery and a violation of human rights, demanding investigation and legal action.


পূর্ণাঙ্গ রি-রাইট করা নিউজ (Minimum 2 Pages)

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নথি জালিয়াতির এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন সাবেক জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেত্রী নীলা ইস্রাফিল। তার দাবি, অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার স্বামীর নামের জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের নাম বসানো হয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি শুধু জালিয়াতি নয়, ব্যক্তিগত মর্যাদা ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টে নীলা ইস্রাফিল বিষয়টি প্রকাশ করেন। তিনি সেখানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ভর্তি ফরমের একটি কপিও যুক্ত করেন। নীলা লেখেন, “ভর্তির দিন আমি সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। নিজের নাম, পরিচয়, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত — সব কিছুর উপর আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আর ঠিক সেই সময়ে সারোয়ার তুষার আমার স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়ে দেয়। এটা কোনো ভুল নয়, বরং আইনগতভাবে স্পষ্ট জালিয়াতি।”

নীলা ইস্রাফিল অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নথিতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং তা ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করাও অপরাধের শামিল। তার ভাষায়, “আমার পারিবারিক পরিচয় বিকৃত করা মানে আমার সামাজিক মর্যাদায় আঘাত করা। এটি আমার মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন।”

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের (UDHR) ধারা ৩, ৫, ১২ ও ২২ অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত মর্যাদা, গোপনীয়তা ও আইনি নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। হাসপাতালে নথিভুক্ত এই ভুয়া তথ্য ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে, যা সামাজিক ও আইনগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে সক্ষম।

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নীলা ইস্রাফিল অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি এবং তার প্রকৃত তথ্য পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানান। নীলা বলেন, “রোগীর অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা এমন অপরাধ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা জরুরি। এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত লড়াই নয়, বরং প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়, মর্যাদা এবং অধিকারের জন্য একটি সংগ্রাম।”

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে এটি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার বিধান প্রযোজ্য হতে পারে। একইসাথে, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নথি সংরক্ষণ ও তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, যা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতের সুনাম এবং রোগীর আস্থা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে।

এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে ক্ষোভ ও আলোচনা চলছে, এবং অনেকে নীলার পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।

Geen reacties gevonden