close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ৫ উপদেষ্টা: রাশেদ খান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Rashed Khan, the General Secretary of Gana Adhikar Parishad, has accused five government advisers of joining hands with Sheikh Hasina in a political conspiracy. His explosive remark at the Consensus C..

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকে দেওয়া তার এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সাম্প্রতিক অভিযোগে। তিনি বলেছেন, সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীতে ঐক্যমত কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই দাবি তুলে ধরেন, যা মুহূর্তেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

রাশেদ খান জানান, বৈঠকে তাদের আলোচনা দেখে মনে হয়েছে যেন নতুন করে আলোচনা শুরু হচ্ছে। অথচ আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। তার ভাষায়, “আমি দৃঢ়ভাবে বলেছি, শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছে এবং তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আজকের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে, আমরাও যেন শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফেলেছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, ঐক্যমত কমিশনের কয়েকটি দল তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ইউটার্ন নিয়েছে। গত বৈঠকে তারা বলেছিল, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে গণভোট চায়। কিন্তু আজ তারা বলছে, নির্বাচনের আগে গণভোট। রাশেদ খানের মতে, এই ধরনের দ্বিচারিতা জনগণ কখনো পছন্দ করে না।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আমাদের রাজনীতিবিদদের এই চরিত্র জনগণ অপছন্দ করে। সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা। আজকের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে আমরা সামনে না গিয়ে বরং আট মাস পিছিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি মনে করেন, ঐক্যমত কমিশনের দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের ঘাটতির কারণেই জুলাই জাতীয় সনদ বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব এসেছে। “যদি আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা থাকতো, তবে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতো; গণভোটের প্রয়োজন পড়তো না,” বলেন রাশেদ খান।

এছাড়াও তিনি জানান, ঐক্যমত কমিশনে নয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে, কিন্তু আজকের বৈঠকে মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। “যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আরও এক মাসেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না,” সতর্ক করেন তিনি।

রাশেদ খানের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ এটিকে গণ অধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এটি সরকারের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে এখনো সরকার কিংবা ঐক্যমত কমিশনের অন্য কোনো সদস্য তার বক্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই মন্তব্য দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। ঐক্যমতের নামে যদি পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি হয়, তবে গণভোট ও নির্বাচন উভয়ই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

コメントがありません


News Card Generator